বাংলাহান্ট ডেস্ক: রাজনীতির (politics) মঞ্চে পা দিয়েই বাক বিতন্ডায় জড়ালেন দীর্ঘদিনের বন্ধু রাজ চক্রবর্তী (raj chakraborty) ও রুদ্রনীল ঘোষ (rudranil ghosh)। দুজনের রাজনৈতিক পরিচয় এখন আলাদা। রুদ্রনীল আগেই যোগ দিয়েছেন বিজেপিতে (bjp)। তৃণমূল (tmc) ঘনিষ্ঠ রাজ সম্প্রতি আনুষ্ঠানিক ভাবে যোগ দিয়েছেন সবুজ শিবিরে। রাজনীতিই শেষমেষ দুজনের অটুট বন্ধুত্বে ভাঙন ধরালো? উঠছে প্রশ্ন।
আসলে সম্প্রতি এক নিউজ চ্যানেলের বিতর্ক অনুষ্ঠানে যোগ দিয়েছেন রাজ চক্রবর্তী ও রুদ্রনীল ঘোষ। বিজেপি নেতা বাবুল সুপ্রিয়র একটি ফেসবুক পোস্ট অনুযায়ী ‘মেয়েরা পরের ধন’, এই বিষয় নিয়েই চলছিল তর্ক বিতর্ক। বাবুল সুপ্রিয়র পোস্ট নিয়েই বিজেপিকে কটাক্ষ করে রাজ বলেন, বিজেপি মেয়েদের পরের ধন মনে করে অসম্মান করে। দেশও তো মা। তাই দেশকেও অন্যদের হাতে তুলে দেবে।
পালটা রুদ্রনীলের বক্তব্য, রাজ যা যুক্তি দিলেন তার থেকে ভাল তিনি নিজে স্ক্রিপ্ট লেখেন। এরপরেই পরিচালককে তাঁর আক্রমণ, “তুই শুভশ্রীর বাড়িতে গিয়ে কেন থাকিস না তাহলে?” হার মানার পাত্র নন রাজও। তাঁর বক্তব্য, শ্বশুর মশাই যদি তাঁকে ভালবেসে নিজের বাড়িতে নিয়ে রাখেন তার থেকে ভাল আর কিছুই হতে পারে না।
প্রসঙ্গত, কয়েক মাস আগেই রাজ শুভশ্রীর বাড়ির পার্টিতে উপস্থিত হয়ে হুল্লোড় করতে দেখা গিয়েছিল রুদ্রনীলকে। তাঁদের দুজনের গভীর বন্ধুত্বের কথা জানেন সকলেই। কিন্তু সক্রিয় রাজনীতিতে যোগ দেওয়ার পরেই দৃশ্যটা যেন বদলে গিয়েছে। এখন রুদ্রনীলের অভিযোগ, KIFF এর চেয়ারম্যান হওয়ার পর থেকেই রাজ বদলে গিয়েছেন। ছেড়ে দেওয়ার পাত্র নন রাজও। রঙ বদলানোর অভিযোগে তিনি।বিদ্ধ করেছেন রুদ্রনীলকে।
উল্লেখ্য, বাবুল সুপ্রিয়র যে পোস্টের ভিত্তিতে বিতর্কে জড়ান রাজ ও রুদ্রনীল সেখানে তিনি লেখেন, মেয়েরা পরের ধন। নির্বাচনের আগে তৃণমূলের স্লোগান ‘বাংলা নিজের মেয়েকেই চায়’ এর পালটা হিসাবে এই পোস্ট করেন বাবুল।
নিজের পোস্টে মমতার ছবির পাশে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহের বক্তব্য উল্লেখ করে তিনি লেখেন, ‘বেটি পরায়া ধন হোতি হ্যায়। ইস বার বিদা কর দেঙ্গে।’ এর সঙ্গে বাবুল নিজে একটি লাইন যোগ করে লেখেন, ‘কর হি দেঙ্গে ইস বার বিদা’।