বাংলা হান্ট ডেস্কঃ দেশের একাধিক রাজ্যে বিধায়ক কেনাবেচা চলে আর সেই ভয়ে বিরোধী দলের পক্ষ থেকে তাদেরকে হোটেলে সরিয়ে নিয়ে যায়। 2014 সালের পর থেকে দেশের বুকে এহেন চমকপ্রদ দৃশ্যের সাক্ষী থেকেছে ভারতবাসী। বিশেষত যেখানেই কংগ্রেস দল ক্ষমতায় এসেছে, পরবর্তীকালে নিজেদের বিধায়ক ধরে রাখাই হয়ে পড়েছে মুশকিল! বর্তমানেও মাত্র দুটি রাজ্যে সরকার গঠন করতে সক্ষম হয়েছে কংগ্রেস আর তার মধ্যেই এবার রাজস্থান থেকে উঠে এলো এক চাঞ্চল্যকর তথ্য, যেখানে নিজেদের বিধায়কদের ধরে রাখতে রীতিমতো হিমশিম খাচ্ছে সরকার পক্ষ। সেই আশঙ্কাতেই পুনরায় একবার নেতাদের হোটেলে লুকিয়ে রাখতে হচ্ছে বলে খবর।
প্রসঙ্গত, আগামী 10 ই জুন রাজস্থানে মোট চারটি আসনে রাজ্যসভা নির্বাচন রয়েছে, যেখানে রণবীর সিং সুরজেওয়ালা, মুকুল ওয়াসনিক এবং প্রমোদ তিওয়ারির মতো নেতাদের জেতা একপ্রকার নিশ্চিত বলে মত ছিল বিশেষজ্ঞদের। তবে দিন এগোনোর সঙ্গে সঙ্গেই সেই অঙ্ক আরও কঠিন হয়ে পড়েছে। বর্তমানে বিজেপি দ্বারা এসেল গ্রুপের চেয়ারম্যান সুভাষ চন্দ্রকে প্রার্থী করায় অস্বস্তি বেড়েছে কংগ্রেস দলের।
পরিসংখ্যান অনুযায়ী, রাজস্থান বিধানসভায় রয়েছে মোট 200 টি আসন। যেখানে যেকোনো একজন প্রার্থীর জয়লাভের জন্য 41 টি ভোটের প্রয়োজন হয়। ফলে স্বাভাবিকভাবেই যে কোন দুজন প্রার্থীকে জেতানোর পরেও তাদের তৃতীয় ব্যক্তিকে জেতাতে কংগ্রেসের হাতে থাকবে মাত্র 26 জন বিধায়ক। সেক্ষেত্রে 41 টি ভোটের লক্ষ্যমাত্রায় পৌঁছানোর জন্য তাদের সেই মুহূর্তে দরকার পড়বে আরো 15 জনের সমর্থন। সেই জায়গায় দেখতে গেলে বিজেপির অবস্থান অনেক ভালো। কারণ তাদের 71 জন বিধায়কের মধ্যে একজন প্রার্থী জেতানো নিশ্চিত এবং তারপরেও দ্বিতীয় জনকে জেতানোর জন্য তাদের হাতে থাকবে 30 জনের সমর্থন। ফলে 41 এর ম্যাজিক ফিগারে পৌঁছানোর জন্য সেই মুহূর্তে তাদের প্রয়োজন হবে 11 জন বিধায়কের।
তবে এ সকল অঙ্কের মাঝেই কংগ্রেসকে স্বস্তি দিচ্ছে নির্দল বিধায়করা, কারণ বিধানসভায় মোট 13 জন নির্দল বিধায়কের মধ্যে অধিকাংশই সমর্থন করে কংগ্রেস সরকারকে। তবে ভোটাভুটিতে শেষ পর্যন্ত কোন দল বাজি জেতে, সেদিকে তাকিয়ে রাজ্যবাসী। তবে এর মাঝেই আবার উঠে এসেছে নির্দল এবং বিরোধী পক্ষের বিধায়কদের কেনাবেচা করার আশঙ্কা! সূত্রের খবর, সেই আশঙ্কা মাঝেই বিধায়কদের উদয়পুরের একটি হোটেলে লুকিয়ে রেখেছে কংগ্রেস দল এবং আগামী 10 তারিখ পর্যন্ত তাদেরকে সেখানেই রাখা হতে চলেছে বলে জানা যাচ্ছে।