রামমন্দিরের গর্ভগৃহে রামলালার কোন মূর্তি বসবে? চূড়ান্ত হল সিদ্ধান্ত, বড় ঘোষণা ট্রাস্টের

বাংলা হান্ট ডেস্ক : ২২ জানুয়ারি উদ্বোধন হবে অযোধ্যার রাম মন্দির (Ram Mandir)। বহু বিতর্ক, আলোচনা, কোর্টকাছারি পেরিয়ে, আপাতত মন্দির উদ্বোধনের অপেক্ষায় রয়েছেন নির্মাতারা। যুদ্ধকালীন তৎপরতায় চলছে মন্দির প্রস্তুতির শেষ মুহূর্তের কাজ। এরমধ্যেই গর্ভগৃহে রামলালার (Ram Lalla Idol) কোন মূর্তি স্থাপিত হবে, তাও চূড়ান্ত হয়ে গেল।

রাম মন্দিরের গর্ভগৃহে স্থাপন করার জন্য মোট তিনটি মূর্তি তৈরি করা হয়েছে। তবে এই তিনটির মধ্যে কোনটি গর্ভগৃহে স্থান পাবে তা নিয়ে ছিল বিস্তর জল্পনা। এরপরেই কমিটির তরফ থেকে একটি বৈঠক ডাকা হয় গত শুক্রবার‌। সেখানেই ভোটাভুটির মাধ্যমে সেরা বিগ্রহকে বেছে নেওয়ার কথা বলে শ্রীরাম জন্মভূমি তীর্থক্ষেত্র ট্রাস্ট।

এইদিন ভোটাভুটির ট্রাস্টের তরফে বিমলেন্দ্র মোহন প্রতাপ সিংহ বলেন, “কোন মূর্তি রামমন্দিরের গর্ভগৃহে থাকবে, তা চূড়ান্ত হয়েছে এবং এই সংক্রান্ত সমস্ত প্রক্রিয়া শেষ হয়েছে।” তারপর থেকেই সবার মনে যে প্রশ্নটা উঁকি দিচ্ছে তা হল, কর্নাটক না রাজস্থান, শ্যামশিলা না গ্রানাইট, কোন মূর্তিটি সর্বোচ্চ ভোট পেল এইদিন?

আরও পড়ুন : বছর শেষে সুখবর! ৬০ নয় ৫০ পেরোলেই মিলবে পেনশন, বড় ঘোষণা খোদ মুখ্যমন্ত্রীর

প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, এই তিনটি মূর্তির কারিগর হলেন কর্নাটকের গণেশ ভট্ট, অরুণ যোগীরাজ এবং রাজস্থানের সত্যনারায়ণ পাণ্ডে। গণেশ ভট্ট নিজের হাতে তৈরি করেছেন শ্যামশিলার রামলালা মূর্তি। অন্যদিকে অরুণ যোগীরাজ মূর্তি নির্মাণ করেছেন সেমি গ্রানাইট পাথর দিয়ে যা ধূসর সাদা রঙের। ওদিকে সত্যনারায়ণ পাণ্ডে যে মূর্তিটি তৈরি করেছেন সেটি সাদা মকরন মার্বেল পাথর দিয়ে তৈরি।

আরও পড়ুন : অপেক্ষার আর কয়েকদিন, রামমন্দিরের উদ্বোধনের আগেই নিষিদ্ধ হল ‘মদ’ দোকান, নিদান যোগীর

এই তিনটি মূর্তির মধ্যেই একটিকে বেছে নিয়েছে শ্রীরাম জন্মভূমি তীর্থক্ষেত্র ট্রাস্ট। যদিও ঠিক কোন মূর্তিটি বেছে নেওয়া হয়েছে সেই বিষয়ে কোনও তথ্য প্রকাশ্যে আনা হয়নি। তবে ট্রাস্টের এক সদস্য জানিয়েছেন, যে মূর্তিটিকে বেছে নেওয়া হয়েছে সেটির দিকে তাকালেই মনে হবে শিশু রামলালা যেন আপনার সাথে কথা বলছে। মূর্তির চোখে মুখ শিশুসুলভ কোমলতা সারল্যে ভরা। এছাড়া বাকি দুটি মূর্তিকে মন্দিরের কোথায় প্রতিষ্ঠা করা হবে তা নিয়েও ভাবনাচিন্তা করছে ট্রাস্ট।

Moumita Mondal
Moumita Mondal

মৌমিতা মণ্ডল, গ্র্যাজুয়েশনের পর শুরু নিয়মিত লেখালেখি। বিগত ৩ বছরেরও বেশি সময় ধরে লেখালেখির সাথে যুক্ত। প্রায় ২ বছর ধরে বাংলা হান্ট-এর কনটেন্ট রাইটার হিসেবে নিযুক্ত।

সম্পর্কিত খবর