বাংলা হান্ট ডেস্কঃ রাম মন্দির (Ram Mandir) নির্মাণের জন্য সুপ্রিম কোর্টের সিদ্ধান্ত আসার পর এবার মন্দির নির্মাণ নিয়ে উৎসুকতা জাগছে। এর প্রস্তুতি ৯০ এর দশকে, প্রায় ৩০ বছর আগে আর্কিটেকচার চন্দ্রকান্ত শুরু করেছিল। উনি এই কাজ বিশ্ব হিন্দু পরিষদের নেতা অশোক সিঙ্ঘলের নেতৃত্বে শুরু করেছিলেন। উনি বলেন, রাম মন্দির নির্মাণের জন্য যদি দুই হাজার কারিগর কাজে লাগে, তাহলে আড়াই বছরে রাম মন্দির নির্মাণ সম্পূর্ণ হয়ে যাবে। নির্মাণের জন্য কম বেশি ১০০ কোটি টাকা খরচ হবে।
গুজরাটের বাসিন্দা চন্দ্রকান্ত সোমপুরা-র পরিবার কয়েক দশক ধরে মন্দিরের ডিজাইন করছে। ওনার পরিবারই গুজরাটের বিখ্যাত সোমনাথ মন্দিরের ডিজাইন করেছিল। আরেকদিকে লন্ডনে স্বামী নারায়ণ মন্দির মাত্র দুই বছরেই তৈরি করা হয়েছি। চন্দ্রকান্ত অনুযায়ী, ছয় মাসে ছয় রকম ডিজাইন নিয়ে কাজ করে রাম মন্দিরে মডেল তৈরি করেছিলেন উনি। ভারতে নাগর, দ্রাবিড় আর বৈসর স্থাপত্য অনুযায়ী মন্দির নির্মাণ হয়। উত্তর ভারতের নাগর স্থাপত্য প্রসিদ্ধ। রাম মন্দিরের জন্য প্রায় ৫০ শতাংশ কাজ সম্পূর্ণ হয়ে গেছে, মন্দিরের গুম্বজের ডিজাইনও হয়ে গেছে।
১৫০ ফুট চওড়া, ২৭০ ফুট লম্বা আর ২৭০ ফুট উঁচু গুম্বজের আকার বানানো হবে। মন্দিরে সিংহ দ্বার, নৃত্য মণ্ডপ, রঙ্গ মণ্ডপ, গর্ভ গৃহ এবং সুন্দর প্রবেশ দ্বার হবে। মন্দিরের ভিতরে মর্মর প্রস্তরখণ্ড দিয়ে সাজানো হবে। বাকি পাথর ভরতপুর থেকে আনা হবে। মন্দিরের আধার থেকে শিখর পর্যন্ত চারটি কোন থাকবে, আর গর্ভ গৃহে আটটি কোন হবে। মডেল দুই দুতলার হবে। ভূতলে মন্দির, আর উপরের তলে দরবার হবে। মন্দিরে ২২১ টি স্তম্ভ হবে, প্রতিটি স্তম্ভে দেব দেবীর ১২ টি করে আকৃতি বানানো হবে। মন্দিরে সন্ত নিবাস, গবেষণা কেন্দ্র, কর্মচারী আবাস, ভোজনালয় হবে।
রাম মন্দির নির্মাণের জন্য লোহার ব্যাবহার হবেনা। গোটা মন্দিরে পাথরের কাজ হবে। পাথর দিয়ে গোটা মন্দিরকে মজবুত করা হবে। মুখ্য মন্দিরে সীতা মাতা, লক্ষণ, ভরত, শত্রুঘ্ন এবং ভগবান গণেশের প্রতিমা হবে। এছাড়াও ভব্য ভগবান রামের মূর্তি বানানো হবে।