বাংলা হান্ট ডেস্ক : বাংলা সিরিয়ালের জনপ্রিয় অভিনেত্রী অপরাজিতা আঢ্য (Aparajita Auddy)। সমাজ কখনোই ‘পরকীয়া’ বিষয়টাকে ভালো নজরে দেখেনি। কিন্তু, তা বলে কাওকে ভালোবাসাটা অপরাধ বলে দায়ের করাটাও কি ঠিক? এবারের এক সাক্ষাৎকারে এই বিষয় নিয়ে জবাব দিলেন অপরাজিতা আঢ্য।
এমনিতেও লাইমলাইটে থাকা অভিনয় জগতের অভিনেতা, অভিনেত্রীদের প্রায়ই নতুন সম্পর্কে জড়াতে দেখা যায়। বিবাহিত থাকাকালীন নতুন সম্পর্কে জড়ানোকে পরকীয়া বলে অভিহিত করা হয়েছে । এই কারণে বহুবার বিয়ে ভাঙতে দেখা গেছে তারকাদের। যা সোশ্যাল মিডিয়াতে প্রতিনিয়ত ভাইরাল হতে থাকে।
বাংলা সিরিয়ালের অভিনেত্রী অপরাজিতা আঢ্য বললেন, ‘পরকীয়া সুস্থতার লক্ষণ’। যা শুনে অনেকেই ভুরু কুচকাতে পারেন। কিন্তু অপরাজিতা তার মন্তব্যটি যুক্তি দিয়ে বুঝিয়েছেন। অপরাজিতা বললেন, ‘কেন পরকীয়াকে আটকাবেন? এটাতো সুস্থতার লক্ষণ। এটা চলে আসছে সেই রামায়ণ, মহাভারতের সময়কাল থেকে। কারো কাওকে ভালো লাগতেই পারে’।
আরও পড়ুন : ‘গোটা ভারত বিজেপিকে ভোট দেবে’, এ কী বললেন কংগ্রেস সাংসদ! অধীর চৌধুরীর মন্তব্যে শোরগোল
আদরের অপরাজিতা বললেন, ‘আমি যদি কাওকে ভালোবাসি,তার সঙ্গে ঘর করি, এটা কোনো অপরাধ নয়। এটা জীবনের স্বাভাবিক ধর্ম। সংসার করলে কি কোনো ভালো জিনিসের দিকে তাকাতে পারবোনা? এবার যার কাছে যত বেশি অপসন তার কাছে তত বেশি মানুষ আসতেই পারে। তা বলে সে কিভাবে সেটা ম্যানেজ করে চলবে সেটা পুরোপুরি সেই মানুষটার ব্যাপার’।
আরও পড়ুন : ৩ রাজ্যে গেরুয়া ঝড় উঠতেই I.N.D.I.A থেকে দূরত্ব বজায় রাখল এই ১১ দল! ভোটের আগেই জোটে ঘোঁট
তিনি আরও বললেন, সংসার জীবনে থাকতে থাকতে কাউকে ভালো লাগতেই পারে। পাখিকে তো আর খাঁচায় বন্দি করে রাখা উচিত নয়। কেউ কাওকে না ঠকালেই হবে।
আরও পড়ুন : বার্ধক্য ভাতা নিয়ে বড় আপডেট, আজ থেকে কপাল খুলবে বৃদ্ধদের! এই জায়গাগুলিতে বসছে ক্যাম্প
অপরাজিতা আঢ্যকে এখন টিভির পর্দায় জল থৈথৈ নামক ধারাবাহিকে দেখা যাচ্ছে। এর আগে তিনি লক্ষী কাকিমা সুপারস্টার করেছিলেন। তার নতুন সিরিয়েল মেগা টিআরপি তালিকায় বেশ ভালো ফল করেছে, যেখানে অপরাজিতাকে আপনারা কোজাগরী চরিত্রে দেখতে পাচ্ছেন। যেখানে কোজাগরী (অপরাজিতা আঢ্য) তার স্বামী সন্তান এবং পুরো সংসারকে নিজের জীবন ঢেলে দিয়েছে। গোটা পরিবারকে বেঁধে রাখে এবং প্রতিটি বিপদের মুখে সম্মুখীন হয়। যা এই ধারাবাহিকে আপনারা দেখতে পাবেন।
হিসাবমতো জীবনে নিজের কাজের ব্যস্ততা নিয়ে চলার পথে সে নিজের পরিবারকে হয়তো অনেকটাই কম সময় দিতে পারে কিন্তু যেটুকু সময় সে তার পরিবারের সাথে থাকে তা হেসেখেলে মিলেমিশে থাকেন। তিনি যেন এভাবেই খুশি থাকেন।