করোনা বিরুদ্ধে লড়াইয়ে দেশজুড়ে জনতা কারফিউ (Janta Curfew) লাগু করা হয়েছে। এটি মূলত দেশের জনগণ দ্বারাই লাগু করা হয়েছে। দেশের সচেতন নাগরিকরা দেশকে বাঁচানোর জন্য এ নিয়ে সক্রিয়ভাবে অংশ নিতেও শুরু করেছেন। তবে মাতাল বর্গ কারফিউ এর আগের দিন মদের দোকানের সামনে ভিড় করে ভাইরাসকে শক্তিশালী করতে নেমে পড়েছে। শুধু এই নয়, শাহীনবাগে ধর্ণায় বসে থাকা কট্টর মুসলিম মহিলারাও দেশকে বিপদে ফেলার ভরপুর প্রয়াসে নেমে পড়েছে। কিছু মুসলিম মহিলা এটা অবদি দাবি করেছে যে, করোনা ভাইরাস কোরান থেকে উৎপন্ন হয়েছে তাই তাদের কিছু হবে না।
বলিউড, টলিউড ও সরকারি আমলের কিছু লোকজন মিলছে যারা বিদেশ থেকে ফিরে মহারাজা মহারানির মতো দেশে করোনা ছড়িয়ে বেড়াচ্ছেন। তবে এ সবের মধ্যে কিছু মানুষ রয়েছেন যারা কোরোনা ভাইরাসকে হারানোর জন্য দেশে ইতিবাচক প্রচেস্টা চালাচ্ছেন।
This is how #Hyderabad looks like. Traffic Police holding placards asking citizens to support #JantaCurfew . Fairly empty streets, so far. #CoronaChainScare #CoronaUpdatesInIndia #Telangana pic.twitter.com/S09LjdZyxv
— Rishika Sadam (@RishikaSadam) March 22, 2020
যোগগুরু রামদেব জনতা কারফিউ এর সমর্থনে খোলাখুলি প্রচার শুরু করেছেন। রামদেব বলেছেন ‘প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী একেবারে বিজ্ঞানসম্মত কথা বলেছেন। এখন উচিত বাড়ির মধ্যে বসে থেকে দেশকে একজোট হয়ে ভাইরাসের বিরুদ্ধে লড়াই করার। বাবা রামদেব বলেছেন বাড়িতে বসে যোগা করুন, আমিও এখন ভিড়ের সামনে যোগা শেখানোর পরিবর্তে অনলাইনে শেখাচ্ছি।” বাবা রামদেব বলেছেন বাড়িতে বসে যোগা করুন যাতে আপনাদের ইমিউনিটি শক্তি বৃদ্ধি পায়। একই সাথে উনি ১ মিনিট শ্বাস ধরে রাখার প্র্যাক্টিস করার উপদেশও দিয়েছেন।
https://twitter.com/News18Bihar/status/1241597924221435904?s=19
প্রসঙ্গত জানিয়ে দি, সম্প্রতি রামদেব বাবাকে নিয়ে পাকিস্তানি ও বাংলাদেশীরা ভুয়ো খবর ছড়িয়েছিল। পাকিস্তানিরা দাবি করেছিল যে রামদেব বাবা বেশি গো-মূত্র খেয়ে অসুস্থ হয়ে পড়েছেন। আসলে ভারতীয়দের জাগ্রত করা রামদেব বাবার মতো লোকজন এমনিতেই পাকিস্তানি ও বাংলাদেশি কট্টরপন্থীদের টার্গেটে থাকে। যার কারণে বেশকিছু গুজব ছড়িয়ে রামদেব বাবাকে হাসির পাত্রে পরিণত করার এজেন্ডা চালানো হয়েছিল।