বাংলা হান্ট নিউজ ডেস্ক: প্রথম ইনিংসে ৭৭৩ রান তোলার পরেই নিশ্চিত হয়ে গিয়েছিল সেমিফাইনাল। তারপর ঝাড়খন্ডকে ২৯৮ রানে অলআউট করার পর দ্বিতীয় ইনিংসে ব্যাটিং প্র্যাক্টিসটাও ভালোই সারলেন বাংলার ব্যাটার। রঞ্জি ট্রফিতে নিজের ২৮ তম শতরান করলেন বাংলার ক্রীড়ামন্ত্রী তথা অভিজ্ঞ ক্রিকেটার মনোজ তিওয়ারী। শেষমেশ ৭ উইকেট হারিয়ে ৩১৮ রান তুলে ইনিংস ডিক্লেয়ার করে বাংলা। ম্যাচ ড্র হয়। প্রথম ইনিংসে বিশাল লিডের সুবাদে সেমিতে পৌঁছে যায় অনুস্টুপ, অভিষেকরা।
এই ম্যাচটি ছিল একটি ঐতিহাসিক ম্যাচ। ঘরোয়া ক্রিকেটের ২৫০ বছরের ইতিহাসে প্রথমবার দলের ৯ জন ব্যাটার একসাথে ৫০-এর গন্ডি অতিক্রম করেছিলেন এই ম্যাচে। একসময় মনে হচ্ছিলো যে অবশ্যই ৮০০ রানের গন্ডি পেরিয়ে যাবে বাংলা। কিন্তু শেষপর্যন্ত ৭৭৩ রানেই ইনিংস ডিক্লেয়ার করার সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন অধিনায়ক অভিমন্যু ঈশ্বরণ।
সেমিফাইনালে বাংলার প্রতিপক্ষ মধ্যপ্রদেশ। ১৪ই জুন থেকে সেমিফাইনালে নামবে দুই দল। এর আগে ঝড়খন্ডকে ২৯৮ রানে অলআউট হওয়ার ক্ষেত্রে বড় ভূমিকা রেখেছিলেন সায়ন শেখর মন্ডল এবং শাহবাজ আহমেদ। প্রথম ইনিংসে ব্যাট হাতে দুজনেই ৫৩ রান করার পর বল হাতে ৪ টি করে উইকেট নেন তারা। ফলে ৪৭৫ রানের বিশাল লিড পেয়েছিল বাংলা।
প্রথম ইনিংসে অনুস্টুপ মজুমদার এবং সুদীপ কুমার ঘরামী শতরান করেছিলেন। তারপর একটি রেকর্ড গড়েছেন আকাশ দীপ। ১৮ বলে অর্ধশতরান করেছিলেন তিনি যা রঞ্জি ট্রফির ইতিহাসে দ্বিতীয় দ্রুততম অর্ধশতরান। এছাড়া মনোজ তিওয়ারী ১৩৬ রানের ইনিংস খেলে রঞ্জি ট্রফির ইতিহাসে দশম সর্বোচ্চ রান সংগ্রাহক হয়ে গিয়েছেন।
এর আগের বছর রঞ্জি ট্রফি করোনার কারণে আয়োজন করা যায়নি। তার আগের বার ২০২০ সালে ফাইনাল অবধি গিয়ে স্বপ্নভঙ্গ হয়েছিল বাংলার। এবারে কি অবসান হবে ৩২ বছরের অপেক্ষার?