‘রাজ্য সরকার দিল না, তবুও তো কেন্দ্রীয় সরকার ভাবল…!’ পদ্মশ্রী প্রাপ্তির দিন অভিমানের সুর রতন কাহারের

বাংলাহান্ট ডেস্ক : সাধারণতন্ত্র দিবসের প্রাক্কালে এ বছরের পদ্মশ্রী প্রাপকদের তালিকা প্রকাশিত করা হয়েছে কেন্দ্রীয় সরকারের তরফে। এ বছর বাংলার চার কৃতি সন্তান পেতে চলেছেন পদ্মশ্রী সম্মান। এই কৃতি সন্তানদের মধ্যে একজন রতন কাহার। বীরভূমের সিউড়ির বাসিন্দা রতন কাহারের লেখা ‘বড় লোকের বেটি লো’ গানটি সবার কাছেই অতি পরিচিত।

টুসু, ঝুমুরের ঘরানার গান লেখায় তিনি বরাবর পারদর্শী। আজও বিভিন্ন অনুষ্ঠান বা প্রতিযোগিতায় রতন কাহারের লেখা ‘বড় লোকের বেটি লো’ গানটি গাওয়া হয়। বলিউডের র‍্যাপার বাদশা এই গানটির রিমেক ভার্সন তৈরি করেছিলেন। কিন্তু সেখানে প্রথমে তাঁর নাম উল্লেখ করা হয়নি। যদিও শেষ পর্যন্ত বাদশা এই ঘটনার জন্য ক্ষমা চেয়ে পাঁচ লক্ষ টাকা সাম্মানিক দেন রতন কাহারকে।

আরোও পড়ুন : ৫ দশক ধরে সাইকেল চালিয়ে নতুন জায়গায় বসাচ্ছেন গাছ! বাংলার ‘গাছদাদু’ এবার পদ্ম সম্মানে ভূষিত

তবে অবশেষে রাষ্ট্রীয় পুরস্কার পেতে চলেছেন এই শিল্পী। পদ্মশ্রী পুরস্কার পেয়ে কী মত তাঁর? রতন কাহারের বাস বীরভূমের সিউড়ির নগরী পাড়ায়। সারা জীবনে অসংখ্য গান রচনা করেছেন তিনি। এই শিল্পীর লেখা ও রচিত গান মানুষের মধ্যে জনপ্রিয় হলেও, প্রাপ্য সম্মান বা অর্থ কোনও দিনই পাননি।

আরোও পড়ুন : পরনে সরকারি স্কুল ড্রেস, মাঠে চরে বেড়াচ্ছে ছাগল! অবাক করা কান্ডের সাক্ষী থাকল বাঘমুণ্ডি

মাত্র ৭৭ টাকা ১৫ পয়সা পারিশ্রমকে ১৯৭২ সালে এই শিল্পী প্রথমবারের জন্য রেডিওতে গান রেকর্ড করেন। রতন কাহারের সংগীত জীবন শুরু হয়েছিল ভাদু গান দিয়েই। এরপর একে একে অসামান্য সব গান রচনা করেছেন তিনি। পদ্ম সম্মান পাওয়ার পর কিছুটা হলেও আবেগতাড়িত হয়ে পড়েন রতন কাহার।

শিল্পীর কথায়, ‘আমার খুব ভালোলাগছে। সবাই আমায় এত ফোন করছে, খুব ভালোলাগছে। এর মতো ভালো আর কী হতে পারে। পশ্চিমবঙ্গ সরকার কিছু না দিলেও, ভারত সরকার আমায় এভাবে সম্মানিত করেছে, এর জন্য আমি খুবই গর্বিত। আমার জীবন ধন্য। আমার অনেক গান আছে।’

20 jpg 1

‘বড়লোকের বেটি লো’ গানটি সম্পর্কে বলতে গিয়ে শিল্পী বলেছেন, ‘বড়লোকের বেটি লো গানটা তো ভাবতেই পারিনি এত ভালো হবে। এরকম অনেক গান আছে আমার কাছে। আমার তো বাড়ি ঘর ছিল না, বহু গান নষ্ট হয়ে গিয়েছে। কেউ ভাবেনি আমার একটা কোনও ব্যবস্থা করে দিক। রাজ্য সরকার একটা ঘর খালি করে দিয়েছে। এত সম্মান পেয়েছি বাড়িতে রাখার জায়গা নেই। এর থেকে যন্ত্রণার আর কী আছে! এভাবেই কেটে গিয়েছে। হয়তো এভাবেই কেটে যাবে।’

Soumita

আমি সৌমিতা। বিগত ৩ বছর ধরে কর্মরত ডিজিটাল সংবাদমাধ্যমে। রাজনীতি থেকে শুরু করে ভ্রমণ, ভাইরাল তথ্য থেকে শুরু করে বিনোদন, পাঠকের কাছে নির্ভুল খবর পৌঁছে দেওয়াই আমার একমাত্র লক্ষ্য।

সম্পর্কিত খবর