বাংলাহান্ট ডেস্ক : সদ্যই স্বর্গপ্রাপ্তি হয়েছেন ভারত রত্ন রতন টাটা (Ratan Tata)। আর তিনি চলে যাওয়ায় শোকস্তব্ধ গোটা দেশ। আর হবে নাই বা কেনো,,,,,,এই ব্যক্তির হাত ধরে গোটা একটা প্রজন্ম কত সুবিধা পেয়ে আসছে তার কোনো ঠিক ঠিকানা নেই। এমনকি এই ব্যক্তির আদর্শ, নীতি, সাহস, জেদ, উদার মনোভাব বারংবার সকলকে অনুপ্রাণিত করে। শুধু তাই নয় শিল্পজগতের এক অনন্য কিংবদন্তি তিনি। এই মানুষটির হাত ধরেই আজ নতুন প্রজন্মকে চাকরির কথা ভাবতে হয় না। আর না ভাবতে হয় দুঃস্থ মেধাবী ছাত্র-ছাত্রীদের পড়াশোনার কথা। তবে শিল্পপতি মৃত্যুর আগে অবধি দেশের জন্য দিয়ে গেছেন একের পর এক উপহার। সেই উপহারের তালিকা আরও একটু বড় হলো। সেই সাথে ভারতের বুকে তিনি রেখে দিয়ে গেলেন তাঁর ছাপ।
রতন টাটা (Ratan Tata) কি উপহার দিয়ে গেলেন দেশবাসীর জন্য?
উপহার হিসেবে দেশের জন্য তৈরি করে দিয়ে গেছেন একটি প্রাণী হাসপাতাল। তবে এই হাসপাতাল কোন আতি পাতি হাসপাতাল নয়। পশুপাখিদের জন্য তৈরি করে গেলেন সুপারস্পেশালিটি হাসপাতাল। অত্যাধুনিক এই হাসপাতালে এমন কোন ব্যবস্থা নেই যা দেখতে পাবেন না। পশুদের সুস্থতা বজায় রাখার জন্য এই ব্যবস্থা।
আরো পড়ুন : শক্তিপীঠ আদ্যাপীঠ! কেন তৈরী হয় জানেন? মন্দিরের ইতিহাস থেকে ভোগ দান, সবকিছু জানুন এক ক্লিকেই
মুম্বাইয়ের মতো মহানগরীতে পাঁচতলা এই হাসপাতাল মাথা উঁচু করে দাঁড়িয়ে আছে। যার নাম স্মল অ্যানিমাল হাসপাতাল মুম্বাই বা এসএএইচএম হাসপাতাল। এই হাসপাতালে একসাথে ২০০ পশুকে রেখে চিকিৎসা করা যায়। চলতি বছর জুলাই মাসের ১ তারিখেই হাসপাতালের পরিষেবা শুরু হয়। তবে আজ এই হাসপাতাল থাকলেও নেই শুধু রতন টাটা (Ratan Tata)। কিন্ত কি জানেন এই হাসপাতাল তৈরির পিছনে রয়েছে এক দুঃখজনক কাহিনী।
আরো পড়ুন : কনফার্ম! আর কাটতে পারবেন না Platform Ticket! বড়সড় সিদ্ধান্ত রেলের, কপাল চাপড়াচ্ছেন যাত্রীরা
হাসপাতাল তৈরীর কাহিনী:
আসলে রতন টাটা (Ratan Tata) বরাবরই পশুপ্রেমী। সে পথপুকুর হোক কিংবা বিদেশী কুকুর কোন কিছুর ভেদাভেদ তিনি করেন না। পশু পাখিদের প্রতি এই মহান ব্যক্তির ছিল এক বুক ভালোবাসা। জানা গিয়েছে, রতন টাটার (Ratan Tata) পোষ্যর একবার হাঁটুতে গুরুতর সমস্যা হয়। শোনা যায় সেই সময় কুকুরটির হাঁটুর কাছে জয়েন্ট এতটাই আঘাত প্রাপ্ত হয়েছিল যে রিপ্লেসমেন্ট করানোর দরকার পড়ে। তবে এই অপারেশন ভারতে করা সম্ভব ছিল না। তাই সুস্থতার জন্য অবলা পশুটিকে নিয়ে যেতে হয় মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের হাসপাতালে। কিন্তু তাকে নিয়ে যেতে যেতে ততক্ষণে অনেকটাই দেরি হয়ে গিয়েছে। যার ফলে অস্ত্রোপ্রচারও ঠিকমতো হয়নি সেদিন।
আর এমন হওয়াতে রতন টাটার মন বিষন্ন হয়ে পড়ে। তিনি ভাবতে থাকেন যদি ভারতেই এমন হাসপাতাল থাকতো তাহলে এমন দুর্দশার সম্মুখীন হতে হতো না কোন পশুকেই। যেমন ভাবা তেমন কাজ এরপর তিনি সিদ্ধান্ত নেন ভারতের বুকে গড়ে তুলবেন পশুদের জন্য এক হাসপাতাল। মুম্বাইয়ের দক্ষিণাঞ্চলে মহালক্ষীতে অবস্থিত এই হাসপাতাল। ৯৮ হাজার বর্গফুট জমি জুড়ে অবস্থিত এই হাসপাতালে প্রতিনিয়ত চলছে চিকিৎসা। সুস্থ হয়ে উঠছে একের পর এক পশু। রতন টাটা সর্বদাই আমাদের দেশের জন্য কিছু না কিছু পড়ে গিয়েছেন। তার আরও একটি প্রমাণ এই হাসপাতাল।