বাংলা হান্ট ডেস্কঃ ২১ ঘন্টা টানা তল্লাশি ও জিজ্ঞাবাদ। তারপরই ইডির হাতে গ্রেফতার রাজ্যের প্রাক্তন খাদ্যমন্ত্রী তথা বর্তমান বনমন্ত্রী জ্যোতিপ্রিয় মল্লিক (Jyotipriya Mallick)। ২০২২ এর মাঝের দিকে শিক্ষক নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় গ্রেফতার হন রাজ্যের প্রাক্তন শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়। আর এবার ইডির জালে জ্যোতিপ্রিয় মল্লিক ওরফে বালু।
বৃহস্পতিবার ভোরে রেশন দুর্নীতি মামলার তদন্তে জ্যোতিপ্রিয়র বাড়িতে হানা দেয় ইডি। ঘড়ির কাটায় রাত ৩ টে বেজে ২০ মিনিটে তাকে নিজের বাড়ি থেকে বের করে ইডি। রাতেই মন্ত্রীকে সিজিও কমপ্লেক্সে নিজেদের দফতরে নিয়ে যায় ইডি। সিজিওতে ঢোকার হতাশায় ভেঙে পড়েন জ্যোতিপ্রিয়। সাংবাদিকদের প্রশ্নে তিনি বলেন, “আমি গভীর ষড়যন্ত্রের শিকার হলাম। শুধু এটুকুই বলে গেলাম। আমাকে শিকার করলেন তারা। ভারতীয় জনতা পার্টি খুব ভাল কাজ করেছে।”
এখানেই শেষ নয়, শুক্রবার স্বাস্থ্যপরীক্ষার জন্য জ্যোতিপ্রিয় মল্লিককে জোকা ইএসআই হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। সেই সময় সিজিও কমপ্লেক্স থেকে বেরোনোর পথে জ্যোতিপ্রিয় ফের বলেন, ‘‘ আমার বিরুদ্ধে চক্রান্ত করা হয়েছে। বিজেপি এবং শুভেন্দু অধিকারী এই চক্রান্তে জড়িত।’’
আরও পড়ুন: লক্ষ্মী পূর্ণিমার দিনই চন্দ্রগ্রহণ! কোনটা শুভ সময়? কখন করবেন কোজাগরীর আরাধনা? জানুন
এরই পাল্টা প্রতিক্রিয়া দিতে এবার হাজির শুভেন্দু (Suvendu Adhikari)। শুক্রবার নিজের এক্স হ্যান্ডেলে একটি ইনফো-কার্ড শেয়ার করে বিরোধী দলনেতা লিখেছেন, “এবার হয়তো মন্ত্রিসভার বৈঠক ও বিধানসভার অধিবেশন জেলের মধ্যে ডাকতে হবে।”
প্রসঙ্গত, গত বছর থেকে একাধিক দুর্নীতি ইস্যুতে বারংবার চাপে পড়তে হয়েছে তৃণমূল কংগ্রেসকে। শিক্ষক নিয়োগ দুর্নীতি, পুর নিয়োগ দুর্নীতি, গরু পাচার আর এবার রেশন দুর্নীতিতেও জড়িয়ে গেল তৃণমূলের নাম। শিক্ষক নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় তৃণমূল বিধায়ক-মন্ত্রী থেকে শুরু করে একাধিক বিধায়ক গারদবন্দি।
নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় গত বছর ২৩ জুলাই গ্রেফতার হন পার্থ চট্টোপাধ্যায়। এরপর ২০২২ এই ১১ অক্টোবর গ্রেফতার হন তৃণমূল বিধায়ক তথা প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদের প্রাক্তন সভাপতি মানিক ভট্টাচার্য। ২০২৩ এর ১৭ এপ্রিল সিবিআই এর হাতে গ্রেফতার হন আরেক তৃণমূল বিধায়ক জীবনকৃষ্ণ সাহা। এ ছাড়া গ্রেফতার হয়েছেন একাধিক তৃণমূল নেতা। আর এবার রেশন দুর্নীতি মামলার গ্রেফতার জ্যোতিপ্রিয়। এই দুর্নীতি ইস্যুতেই শাসকদলকে জোর খোঁচা শুভেন্দুর।