বাংলা হান্ট নিউজ ডেস্কঃ ভারতের বিরুদ্ধে অত্যন্ত আগ্রাসী ভাবে ব্যাটিং শুরু করেছিলেন বাংলাদেশের দুই ওপেনার। বুমরা এবং সিরাজের প্রাথমিক ওভারগুলি সামাল দিয়ে মন খোলা হয়ে আক্রমণ শুরু করেছিলেন লিটন দাস এবং তানজিদ তামিম। তার মাঝে ভারতীয় দলের তারকা পেস বোলিং অলরাউন্ডার হার্দিক পান্ডিয়া চোট পান এবং রোহিত শর্মার সমস্যা বাড়ে।
বিরাট কোহলিকে দিয়ে কোনরকমে হার্দিক পান্ডিয়ার ওভারটি সম্পূর্ণ করিয়ে শার্দূল ঠাকুরকে আক্রমণে এনেছিলেন রোহিত। কিন্তু তিনি যেন ক্রমশই সমর্থকদের বিরক্তির কারণ হয়ে দাঁড়াচ্ছেন। প্রথম ওভারই একগাদা রান বিলিয়ে দিয়ে তিনি ভারতকে আরও ব্যাকফুটে ঠেলে দেন।
এরপর রোহিত শর্মা স্পিনার হিসাবে কুলদীপ যাদবকে আক্রমণে এনেছিলেন। কিন্তু তাতেও কোনও লাভ হচ্ছিলো না। এরপর ম্যাচের ১৫তম ওভারের আগে একটি জলপানের বিরতি হয় এবং তখন মাঠে আসেন তারকা ও অভিজ্ঞ অফস্পিনার রবি অশ্বিন। এই ম্যাচে তিনি সুযোগ পাননি। কিন্তু রোহিত শর্মাকে কিছু পরামর্শ দেন তিনি মাঠে নেমে।
আরও পড়ুন: হার্দিকের চোট, হাতে বল তুলে নিলেন বিরাট কোহলি! ম্যাজিকের প্রত্যাশায় পুনে
ম্যাজিকের মতন দেখা যায় এর পরের ওভারেই ডিপ স্কোয়ার লেগ ফাঁকা দেখে সেদিকে সুইপ মারতে গিয়ে ফসকে কুলদীপ যাদবের শিকার হয়ে এলবিডব্লিউ হন তানজিদ তামিম। আগ্রাসী ব্যাটিং করতে থাকা বাংলাদেশি ওপেনারকে ৫১ রানের ব্যক্তিগত স্কোরে ড্রেসিংরুমে ফিরিয়ে উইকেটের রাস্তা যেন খুলে দিয়ে গিয়েছিলেন খুলতে কিন্তু এর পেছনে ছিল অশ্বিনের মস্তিষ্ক।
আরও পড়ুন: বিরাট কোহলির জন্য বিশেষ পরিকল্পনা প্রস্তুত! এই বাংলাদেশি জব্দ করবে ভারতের চেজ মাস্টারকে
এরপর জাদেজা পরপর নাজমুল শান্ত ও লিটন দাস উইকেট নিয়ে ভারতকে কিছুটা ম্যাচে ফেরত আনে। সিরাজ মেহেদী মিরাজকে ড্রেসিংরুমে ফেরানো মাত্র আরও চাপ বেড়ে যায় বাংলাদেশের ওপর। কিন্তু গোটা বিষয়টা শুরু হয়েছিল অশ্বিনের ওই পরামর্শের মধ্যে দিয়ে।