বাংলা হান্ট ডেস্কঃ নিয়োগ দুর্নীতি (Recruitment Scam) নিয়ে এখনও তোলপাড় রাজ্য। দুর্নীতির রহস্যভেদ করতে চলছে তদন্ত। আর নিত্যদিন সামনে আসছে বিস্ফোরক সব তথ্য। শিক্ষাক্ষেত্রে কেলেঙ্কারির দায়ে জেলবন্দি রাজ্যের প্রাক্তন শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায় থেকে শুরু করে বহুজনা। এরই মাঝে এবার কলকাতা হাইকোর্টের (Calcutta High Court) নির্দেশের জেরে বিপাকে শিক্ষক-শিক্ষিকারা।
সম্প্রতি SSC দুর্নীতি মামলায় ২০১৬ সালের গোটা প্যানেল বাতিল করে দেয় হাইকোর্ট। যদিও পরে সুপ্রিম কোর্ট সেই নির্দেশে সাময়িক স্থগিতাদেশ দিয়েছে। তবে ২৬০০০ চাকরিপ্রার্থীর মধ্যে থেকে অযোগ্যদের যত দ্রুত সম্ভব খুঁজে বের করার নির্দেশ দিয়েছে সর্বোচ্চ আদালত। সেই নির্দেশ ধরেই এগোচ্ছে কমিশন, রাজ্য। এরই মাঝে এবার বাংলার সব শিক্ষককে (Teachers) নথি দিয়ে যোগ্যতা প্রমাণের নির্দেশ দিল শিক্ষা দফতর।
সূত্রের খবর, কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি বিশ্বজিৎ বসুর নিয়োগ সংক্রান্ত একটি মামলায় দেওয়া নির্দেশের ভিত্তিতেই এই নির্দেশিকা জারি করেছে পশ্চিমবঙ্গের শিক্ষা দফতর। যা জানা যাচ্ছে তাতে সব মিলিয়ে প্রায় ১ লক্ষ ৩০ হাজারের বেশি শিক্ষককে নথি জমা দিতে হবে বলে জানিয়েছে রাজ্য।
জানা গিয়েছে, ২৭ মে পর্যন্ত শিক্ষক-শিক্ষিকাদের সময় দেওয়া হয়েছে। এর মধ্যে নির্দিষ্ট জায়গায় হার্ড কপি জমা দিতে তাদের। জানিয়ে রাখি, শিক্ষকদের স্কুল সার্ভিস কমিশনের শংসাপত্র, নিয়োগ পত্র, বর্তমান চাকরির প্রমাণ পত্র এই সমস্ত কিছু জমা দিতে হবে। কমিশন তরফে নিয়োগ পাওয়া শিক্ষক না হলে দিতে হবে অ্যাপ্রুভাল মেমো।
আরও পড়ুন: শ্রীরামপুরে কল্যাণকে বুথে ঢুকতে বাধা জওয়ানের! পাল্টা যা করলেন তৃণমূল প্রার্থী … শোরগোল!
এরপর প্রধান শিক্ষকদের মাধ্যমে ডিআই-দের কাছে প্রমাণের হার্ড কপি চলে যাবে। সমস্ত তথ্য কাগজ খতিয়ে দেখে রিপোর্ট পেশ করবেন ডিআই-রা। আগামী ৭ জুনের মধ্যে সেই রিপোর্ট পেশ করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। তবে হঠাৎ কেন সমস্ত শিক্ষকদের এমন নির্দেশিকা দেওয়া হল সেই নিয়ে উঠছে প্রশ্ন। যাদের চাকরি প্রায় অবসরের পথে এই সময়ে এসে রাজ্যের এই নির্দেশিকা হাতে পাওয়ায় হতাশ শিক্ষক -শিক্ষকাদের একাংশের।