বাংলা হান্ট ডেস্কঃ ২০২২ থেকে নিয়োগ দুর্নীতি (Teacher Recruitment Scam) নিয়ে তোলপাড় রাজ্য। শিক্ষক কেলেঙ্কারির অভিযোগে জেলবন্দি রাজ্যের প্রাক্তন শিক্ষামন্ত্রী থেকে শুরু করে বহু নেতা, বিধায়ক, শিক্ষা দফতরের আধিকারিক। এরই মধ্যে সোমবার অর্থের বিনিময়ে চাকরি নেওয়া ৪ শিক্ষককে জেলে পাঠানোর নির্দেশ দেয় আদালত। এর পরেই তোলপাড় পড়ে যায় গোটা রাজ্যে। তবে এখানেই শেষ নয়, বরং শুরু। ওই ৪ শিক্ষকের পর এবার বাঁকুড়া (Bankura) জেলা থেকে ৭ জন প্রাথমিক শিক্ষকদের (Primary Teachers) তলব করল সিবিআই (CBI)।
সূত্রের খবর, বুধবার বেলা এগারোটায় বাঁকুড়া থেকে প্রাইমারি স্কুলে কর্মরত ওই সাত শিক্ষককে নথি সমেত নিজাম প্যালেসে তলব করা হয়েছে। এই সাত জনই অ্যাসিস্ট্যান্ট টিচার প্রাইমারি স্কুলে কর্মরত। তাদের নথি খতিয়ে দেখবে সিবিআই। সম্প্রতি নিয়োগ দুর্নীতির তদন্তে বিভিন্ন জেলা থেকে শিক্ষকদের ডেকে পাঠাচ্ছে সিবিআই। এরই মধ্যে এবার স্ক্যানারে বাঁকুড়া। ইতিমধ্যে বাঁকুড়া ডিস্ট্রিক প্রাইমারি স্কুল কাউন্সিলকে গোটা বিষয়ে জানানো হয়েছে বলে জানা গিয়েছে।
সিবিআই সূত্রে খবর, কিভাবে চাকরি পান ওই সাত শিক্ষক? চাকরি পাওয়ার ক্ষেত্রে যাবতীয় পরীক্ষা, ইন্টারভিউ সব কি হয়েছিল কি না? এই সব তথ্য জানতে চায় তদন্তকারীরা। প্রসঙ্গত, সোমবারই আলিপুর সিবিআই বিশেষ আদালত ৩১৯ ধারায় নোটিস দিয়ে চার শিক্ষককে হাজিরা দেওয়ার নির্দেশ দেয় আদালত।
৭ই আগস্ট, সোমবার, আদালতের নির্দেশের ভিত্তিতে তাদের হাজিরা দেন ওই শিক্ষকরা। মামলায় ক্ষুব্ধ হয়ে বিচারক মন্তব্য করেন, ‘এরাই সেই লোক, যারা টাকা নিয়ে পার্থ চট্টোপাধ্যায়, কুন্তল ঘোষের মতো লোকেদের কাছে গিয়েছিলেন। এদের জন্যই এতগুলি মানুষ ভুগছে।’
এরপরই আগামী ২১ অগস্ট পর্যন্ত ধৃতদের বিচারবিভাগীয় হেফাজতের নির্দেশ দেয় আদালত। আদালতের সিদ্ধান্তে গ্রেফতার হওয়া প্রত্যেক শিক্ষকই মুর্শিদাবাদের (Murshidabad) নবগ্রামের বাসিন্দা। নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় প্রথমবার শিক্ষক গ্রেফতারির মামলায় তোলপাড় পড়ে যায়। এই আবহেই এবার ফের ৭ শিক্ষককে তলব।