বাংলা হান্ট ডেস্কঃ গত বছর থেকেই বাংলায় একের পর এক দুর্নীতির রহস্যভেদ করতে কোমর বেঁধে নেমেছে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা ইডি-সিবিআই (ED-CBI)। নিয়োগ দুর্নীতি, পুর নিয়োগ দুর্নীতি, গরু পাচার, কয়লা পাচার আর সম্প্রতি এই তালিকায় যুক্ত হয়েছে রেশন দুর্নীতি। এক সাথে এই এতগুলো মানলায় তদন্ত করতে প্রয়োজন অনেক দক্ষ অফিসার। কিছুদিন আগে নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় (Recruitment Scam) অফিসারের অভাবের কথা হাইকোর্টে বিচারপতি অমৃতা সিনহার এজলাসে জানিয়েছিল ইডি। এবার সেই একই সমস্যায় ভুগছে আরেক তদন্তকারী সংস্থা সিবিআই।
প্রসঙ্গত, নিয়োগ দুর্নীতির তদন্তের গতি নিয়ে বহু বার অসন্তোষ প্রকাশ করেছেন হাইকোর্টের একাধিক বিচারক। ৩১ ডিসেম্বরের মধ্যে নিয়োগ দুর্নীতির তদন্ত শেষ করার নির্দেশ দিয়েছে হাইকোর্ট। সব মিলিয়ে দিশেহারা সিবিআই। বর্তমানে শিক্ষক কেলেঙ্কারির পাঁচটি মামলার তদন্ত চলছে। তদন্তভার রয়েছে এই মামলায় গঠিত বিশেষ তদন্তকারী দলে সিটের ওপর।
সিটে রয়েছেন পাঁচজন সিবিআই অফিসার। পাঁচটি মামলার তদন্তে ৫ অফিসারই নিজ দায়িত্ব পালনে ব্যস্ত। ফলে কাজের অত্যাধিক চাপ এবং অতিরিক্ত কোনও অফিসার না থাকায় তদন্ত গতি হারাচ্ছে। উল্লেখ্য, বর্তমানে এই মুহূর্তে কলকাতার নিজাম প্যালেসের অ্যান্টি করাপশন ব্রাঞ্চে রয়েছেন মোট ২২ জন অফিসার। কিন্তু ২২ জন থাকলেও বিশেষভাবে গঠিত সিট এর সদস্য ছাড়া অন্য কেউ নিয়োগ দুর্নীতির তদন্ত করতে পারবে না।
আরও পড়ুন: রেশন দুর্নীতিকাণ্ডে নয়া টুইস্ট! বাকিবুরের সঙ্গে হাজির রাখি সওয়ান্ত, তোলপাড়
এই মুহূর্তে নিয়োগ দুর্নীতির পাঁচটি মামলার তদন্ত চলছে বাংলায় আর সিট এর অফিসার সংখ্যাও ৫. এক একজন অফিসারকে একটা গোটা মামলা সামলাতে হচ্ছে। তার উপর ১৪ দিন অন্তর আদালতে হাজিরা, মামলা সংক্রান্ত ডেস্ক এর কাজ, তথ্য সংগ্রহ, প্রয়োজন বিশেষে ব্রাঞ্চের কাজও নিজেকেই করতে হচ্ছে।
ওদিকে গোদের ওপর বিষফোঁড়া হল এই মুহূর্তে নিজামে তৈরি হওয়া ফরেন্সিক ল্যাবে মাত্র ১ কর্মী রয়েছেন। ফলে কোনও সাহায্য ছাড়া একজনের পক্ষে জিজিটাল এভিডেন্স বিশ্লেষণ করাও চাপের কাজ। সব মিলিয়ে অফিসার, কর্মীর অভাবে মাথায় হাত সিবিআই এর। ওদিকে আদালতের ভর্ত্সনা তো রয়েইছে।