বাংলাহান্ট ডেস্ক: শিক্ষা একটি জাতির মেরুদন্ড। উপযুক্ত শিক্ষা ছাড়া কখনোই দেশ গঠন সম্ভব নয়। কিন্তু সেই শিক্ষা দান সবসময় চার দেওয়ালের মধ্যে আবদ্ধ থেকে নয়, আনন্দ পরিসরে হওয়া উচিত। বিশ্বকবি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর অনেকটা এমন ভেবেই প্রতিষ্ঠা করেন শান্তিনিকেতনের। যেখানে চিন্তার সাথে সাথে উন্মুক্ত শিক্ষা।
তবে আপনারা জানলে অবাক হবেন আমাদের রাজ্যে এমন একটি স্কুল রয়েছে যেখানে শিক্ষার পরিসর এমনই আনন্দময় ও উন্মুক্ত। পশ্চিম মেদিনীপুর জেলাতে আদিবাসী অধ্যুষিত এলাকার এই স্কুল যেন পড়ুয়াদের কাছে সব পেয়েছির আসর। এই স্কুলে পড়ুয়াদের উপস্থিতির হার ৯৯%। নছিপুর আদিবাসী হাইস্কুল পশ্চিম মেদিনীপুর জেলার এক প্রান্তিক গ্রামে অবস্থিত।
আরোও পড়ুন : আগামী বছরেও মহাকাশে ভারতের শক্তি দেখবে গোটা বিশ্ব, ISRO লঞ্চ করবে দশটি মিশন! রইল প্ল্যান
নির্মল বিদ্যালয় পুরস্কার, শিশুমিত্র পুরস্কার, স্বচ্ছ বিদ্যালয় পুরস্কার সহ একাধিক পুরস্কারের মুকুট রয়েছে এই স্কুলের মাথায়। এই স্কুলের শিক্ষাদানের পদ্ধতি এতটাই আনন্দদায়ক যে এখানে পড়ুয়ারা শিক্ষার আনন্দের টানে ছুটে আসে স্কুলে। আদিবাসী অধ্যুষিত এই এলাকার স্কুলটি খুবই ঝাঁ-চকচকে ও গোছনো।
আরোও পড়ুন : এবার জলের দরে ঘুরে আসুন জলদাপাড়া! ছাড় পাবেন চিলাপাতা, টোটোপাড়া ভ্রমণেও, সস্তার প্যাকেজ NBSTC’র
সুন্দর সুন্দর গাছ রয়েছে এই স্কুলের চারপাশে। এই স্কুলের পরিবেশ সত্যিই অনন্য। এই বিদ্যালয়ের মূল মন্ত্রই হল পরিচ্ছন্নতা। এই বিদ্যালয়ের প্রতিটি প্রান্তে রয়েছে জ্ঞানের ভান্ডার। দেওয়ালে রয়েছে মনীষীদের ছবি, তার সাথে লেখা রয়েছে তাঁদের বাণী। মনীষীদের পাশাপাশি বিভিন্ন খেলোয়াড়ের মূর্তি রয়েছে স্কুলে। যেদিকেই চোখ পড়বে দেখা মিলবে মনীষীদের জীবনের জীবন গাঁথা।
সপ্তাহে একদিন ৩০ মিনিট করে পড়ুয়াদের নিয়ে চলে সাফাই অভিযান। বিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের বক্তব্য, পাঠ্য শিক্ষার মধ্যে সীমাবদ্ধ থাকলে হবে না পড়ুয়াদের, প্রয়োজন রয়েছে সামাজিক শিক্ষার। এছাড়াও একাধিক মূর্তি রয়েছে বিদ্যালয় চত্বরে। এত সুন্দর পরিবেশের কারণে স্কুল পড়ুয়ারা প্রতিদিন হাজির হয়ে যায় স্কুলে। স্কুলে প্রতিদিন গড় উপস্থিতির হার তাই ছুঁয়েছে ৯৯%।