বাংলা হান্ট ডেস্ক : গ্ল্যামার দুনিয়ার কম্পিটিশন আজ এত বেশি যে উপার্জনের বিকল্প উপায় হিসেবে ব্যবসা খাতে নাম লেখাচ্ছেন বলি তারকারা। কমবেশি প্রায় সকলেরই রয়েছে প্ল্যান বি। অ্যাক্টিং কেরিয়ার সাকসেসফুল না হলেও না খেতে পেয়ে মরতে হবেনা। আর এই তালিকায় নাম রয়েছে আলিয়া ভাটেরও। তবে সম্প্রতি ‘গঙ্গুবাঈ’র কোম্পানি কিনে নিলেন মুকেশ আম্বানি।
একথা হয়ত অনেকেই জানেন যে, এড-আ-মাম্মা নামক একটি কোম্পানি চালাতেন আলিয়া ভাট। সম্প্রতি এই কোম্পানির-ই ৫১ শতাংশ শেয়ার কিনে নিয়েছে রিলায়েন্স ইন্ডাস্ট্রিজ। তারপর থেকেই তোলপাড় শুরু হয়ে গেছে দেশজুড়ে। আলিয়া তার এমন সাধের কোম্পানি বিক্রি কেন করলেন__এই প্রশ্ন ভাবাচ্ছে অনুরাগীদের। উল্লেখ্য, আজ থেকে প্রায় ৩ বছর আগে শুরু করেছিলেন এক উদ্যোক্তা হিসেবে যাত্রা।
সূত্রের খবর, আলিয়ার এই কোম্পানিটি পরিচালনার দায়িত্বে ছিলেন এটার্নালিয়া ক্রিয়েটিভ কোম্পানি। ডিরেক্টর পদে ছিলেন আলিয়া নিজে। তবে সম্প্রতি একটি বিবৃতে রিলায়েন্স ইন্ডাস্ট্রিজ জানিয়েছে, রিলায়েন্স রিটেইল ভেঞ্চার লিমিটেডের (আরআরভিএল) মাধ্যমে এই চুক্তি করা হয়েছে। একথা অনেকেই জানেন যে, এই মুহূর্তে রিলায়েন্স রিটেইলের ব্যাটন রয়েছে ইশা আম্বানির হাতে।
আরও পড়ুন : সব রেকর্ড খানখান! প্রথম দিনেই বক্স অফিসে আগুন ধরালো শাহরুখের ‘জওয়ান’, আয় এত কোটি
এই রিটেইল ভেঞ্চারস লিমিটেড জানিয়েছে, তারা অ্যাড-আ-মাম্মা তে শিশুদের জামা কাপড় সেকশনে নিজেদের উপস্থিতি আরও জোরালো করতে পারবে। যদিও ঠিক কত টাকার চুক্তিতে এই অধিগ্রহণ হয়েছে তা এখনও খোলসা করেননি কেউই। তবে জুলাই মাসের দিকে একবার শোনা গেছিল, প্রায় ৩০০ থেকে ৩৫০ কোটি টাকার বিনিময়ে আলিয়ার থেকে এই কোম্পানি কিনছে রিলায়েন্স।
আরও পড়ুন : ‘মিলি’কে জায়গা দিতে বন্ধ হচ্ছে এই TRP টপার! খবর শুনে বিশ্বাসই করতে পারছেনা ভক্তরা
জানিয়ে রাখি, এড-আ-মাম্মা মূলত বাচ্চাদের ও মাতৃত্বকালীন পোশাক তৈরি করে। ২ থেকে ১২ বছরের বাচ্চাদের জন্য আরামদায়ক পোশাক তৈরি করে এই ব্র্যান্ড। পাশাপাশি মাতৃত্বকালীন অবস্থায় পরার জন্য স্টাইলিশ পোশাক তৈরির জন্যেও এই ব্র্যান্ড প্রসিদ্ধ। এইদিন টুইট করে আলিয়া লেখেন, ‘এড-আ-মাম্মা একটি বড় লক্ষ্য নিয়ে তৈরি হওয়া একটি বুট-স্ট্র্যাপড উদ্যোগ। রিলায়েন্স রিটেল দেশের বৃহত্তম খুচরা বিক্রেতা। আমাদের উভয়ের লক্ষ্য একই। আমরা দুজনেই দেশীয়করণের প্রচার করতে চাই।’