ফের শুরু হবে কাশ্মীর হিন্দু পন্ডিতদের গণহত্যার তদন্ত! খোলা হল মামলার ফাইল, বিরাট পদক্ষেপ পুলিসের

বাংলা হান্ট ডেস্ক : জম্মু ও কাশ্মীর পুলিস (Jammu Kashmir Police) তিন দশকেরও বেশি সময় পরে, অবসরপ্রাপ্ত বিচারক নীলকান্ত গাঞ্জুর হত্যা সহ আরও বেশ কয়েকটি বিশিষ্ট কাশ্মীরি পণ্ডিতদের হত্যা (Kashmiri Pandit Genocide) মামলা ফের খুলতে চলেছে। সোমবার, জম্মু ও কাশ্মীর পুলিসের স্টেট ইনভেস্টিগেশন এজেন্সি (SIA)-র কাছে জনসাধারণের তরফ থেকে গঞ্জু হত্যাকে ঘিরে ঘটাকে ষড়যন্ত্র উন্মোচনে আবেদন করা হয়েছে।

তাঁদের আবেদনের ভিত্তিতে, এসআইএ হত্যার সাথে সম্পর্কিত ঘটনা সম্পর্কে প্রত্যক্ষ বা পরোক্ষ জ্ঞান রয়েছে এমন ব্যক্তিদের এগিয়ে আসার এবং পুলিসের তদন্তে সহায়তা করার আহ্বান জানায়। ১৯৮৯ সালে গঞ্জুর হত্যা পাকিস্তানের মদদপুষ্ট মুসলিম সন্ত্রাসবাদীদরা ভূস্বর্গ জুড়ে টার্গেট কিলিং চালাচ্ছিল। তারই অংশ ছিল গঞ্জুর হত্যা। কাশ্মীরি পণ্ডিতরা তাঁদের জীবনের বাঁচাতে কাশ্মীর ছেড়ে পালিয়ে যেতে বাধ্য হয়। স্বাধীন ভারতের ইতিহাসে সর্বকালের সর্ববৃহৎ দেশত্যাগের বলে আখ্যা পায়।

এই মামলায় তদন্তের কাজে যাঁরা সাহায্য করবেন তাঁদের পরিচয় এজেন্সি সম্পূর্ণ গোপন রাখবে বলে কথা দিয়েছে। এসআইএ-এর উদ্যোগের গঞ্জুর টার্গেট কিলিং-র পিছনে বৃহত্তর অপরাধমূলক চক্রান্তের হদিশ পেয়েছে। গঞ্জু দায়রা এবং জেলা আদালতের বিচারক হিসাবে দায়িত্ব পালন করেছিলেন। জম্মু ও কাশ্মীর লিবারেশন ফ্রন্ট (জেকেএলএফ) এর প্রতিষ্ঠাতা বিচ্ছিন্নতাবাদী মকবুল ভাটের বিচার করায় সন্ত্রাসীদের নিশানায় চলে আসেন।

kashmir

১৯৬৮ সালে গঞ্জু ১৯৬৬ সালে পুলিস ইন্সপেক্টর অমর চাঁদ হত্যায় জড়িত থাকার অপরাধে ভাটকে মৃত্যুদণ্ড দেয়। এই রায়টি শেষ পর্যন্ত ১৯৮২ সালে সুপ্রিম কোর্টও বহাল রাখে। ১৯৮৪ সালে ভাটের মৃত্যুদণ্ড কার্যকর হয়।

কাশ্মীর উপত্যকায় ইসলামিক সন্ত্রাস ছড়িয়ে পড়ার সাথে সাথে, অনেক বিশিষ্ট কাশ্মীরি পন্ডিত সম্প্রদায়ের মধ্যে ভয় জাগানোর জন্যও হত্যা করা হয়েছিল। মসজিদের লাউডস্পিকারে তাদের উপত্যকা ছেড়ে চলে যাওয়ার নির্দেশও দেওয়া হয়। ১৯৮৯ সালের ৪ নভেম্বর শ্রীনগরে হাইকোর্টের কাছে প্রকাশ্য দিবালোকে গঞ্জুকে সন্ত্রাসীরা গুলি করে হত্যা করে।

Sudipto

সম্পর্কিত খবর