বাংলাহান্ট ডেস্ক: গালাগালি দিয়েও যে জনপ্রিয় হওয়া যায় তা চোখে আঙুল দিয়ে দেখিয়ে দিলেন রোদ্দুর রায় (Roddur Roy)। অনেকদিন ধরেই সোশ্যাল মিডিয়া সেনসেশন তিনি। সেই রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের গান বিকৃত করে গাওয়ার পর থেকেই রাতারাতি খবরে উঠে আসেন রোদ্দুর। এতদিন দিব্যি আকাশে ঝকঝকিয়ে ছিলেন তিনি। কিন্তু মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের বিরুদ্ধে অশালীন মন্তব্য করার অভিযোগে সম্প্রতি মেঘে ঢাকা পড়েছেন রোদ্দুর।
বৃহস্পতিবার তাঁকে কলকাতার ব্যাঙ্কশাল কোর্টে তোলা হয়। এমনিতেই রোদ্দুরের গ্রেফতারি নিয়ে দু ভাগে ভাগ হয়ে গিয়েছিল নেটজনতা। এদিন রোদ্দুরকে আদালতে পেশ করতেই চত্বরে ভেঙে পড়ে অনুরাগীদের ঢল। সবাই ‘গুরু’কে একবার চোখের দেখা দেখতে চান। রোদ্দুর রায়ের জামিনের দাবিতে সরব হতে দেখা যায় তাঁর ভক্তদের।
আদালত চত্বরে উপস্থিত রোদ্দুর রায়ের এক সমর্থক বলেন, রোদ্দুর রায়ের বিরুদ্ধে অশালীন মন্তব্যের অভিযোগ আনা হয়েছে। সেটার সমালোচনা করা যায়, কিন্তু গ্রেফতারি কি উচিত? অনুরাগীদের মতে, রাষ্ট্র নিজের ক্ষমতা প্রদর্শন করতে চাইছে। রোদ্দুর রায় প্রতিবাদ করতে জানে। প্রতিবাদ করেছেন তিনি, আর ভবিষ্যতেও করবেন। প্রতিবাদের ভাষায় সমস্যা রয়েছে এটা ঠিক। কিন্তু এভাবে গ্রেফতার করা উচিত হয়নি।
তবে এদিন অন্য রকম চিত্রও দেখা গিয়েছে আদালত চত্বরে। রোদ্দুর রায়ের বিরোধী কয়েকটি সংগঠন এদিন উপস্থিত ছিল সেখানে, যারা ইউটিউবারের বিতর্কিত মন্তব্যের বিরুদ্ধে প্রশ্ন তুলেছেন। সব মিলিয়ে রোদ্দুরকে গ্রেফতার নিয়ে এক বিশৃঙ্খল পরিস্থিতি তৈরি হয়েছিল আদালত চত্বরে।
বৃহস্পতিবার অবশ্য কোনো রায়দান হয়নি। রোদ্দু্র রায়ের আইনজীবী উল্লেখ করেন, বাক স্বাধীনতার কথা। পালটা সরকারি আইনজীবী বলেন, বাকস্বাধীনতার কথা ভারতের সংবিধানে রয়েছে ঠিকই। কিন্তু তার কিছু বিধিনিষেধও আছে। রোদ্দুর রায় অন্যকে আঘাত করে মন্তব্য করেছেন, যেটা সংবিধান বিরোধী। এদিনের মতো রায়দান স্থগিত রেখেছে আদালত।