ভারতের বিরুদ্ধে খেলতে আসার আগে বাংলাদেশের সেরা প্লেয়ার তথা এক নম্বর অলরাউন্ডার সাকিব আল হাসান কে নির্বাসিত করে আইসিসি। তারপরেই নিজের ব্যক্তিগত কারণে ভারত সফরে আসেন নি বাংলাদেশের তারকা ওপেনার তামিম ইকবাল। আর তাই ভাঙাচোরা দল নিয়ে ভারতের বিরুদ্ধে সিরিজ খেলতে এসেছে বাংলাদেশ। কিন্তু টি-টোয়েন্টি সিরিজের প্রথম ম্যাচে ভারতকে হারিয়ে দিয়েছে বাংলাদেশ। তবে বাংলাদেশের জয়ের নেপথ্যে রয়েছে ভারতের অনভিজ্ঞ বোলিং লাইনআপ। ভারতীয় বোলার খালিলআহমেদ প্রথম ম্যাচে 4 ওভার বল করে মাত্র একটি উইকেট নিয়েছিল আর দিয়েছিল 37 রান। 19 তম ওভারে পরপর চারটি বলে চারটি চার দিয়ে বাংলাদেশের জয় প্রায় নিশ্চিত করে দিয়েছিল খালিল। তারপরে খালিল কে নিয়ে ব্যাপক সমালোচনা দেখা গিয়েছে দেশজুড়ে। প্রশ্ন উঠতে শুরু করে এত রান দেওয়ার সত্ত্বেও কেন খালিলকে বারবার খেলানো হচ্ছে।
প্রথম ম্যাচে খলিলের অনভিজ্ঞ বোলিং দেখার পর থেকেই প্রশ্ন উঠতে শুরু করে তাহলে কি দ্বিতীয় ম্যাচে ভারতীয় বোলিং লাইনআপে পরিবর্তন দেখা যাবে? সাংবাদিক সম্মেলনে এসে সেই পরিবর্তনের ইঙ্গিত দিয়ে গেলেন ভারত অধিনায়ক রোহিত শর্মা। যদি বোলিং বিভাগের পরিবর্তন হয় তাহলে মনে করা হচ্ছে খালিল আহমেদের বদলে সুযোগ পেতে চলেছেন শার্দুল ঠাকুর। এছাড়াও রোহিত শর্মা বলেন যে বোলিং বিভাগে আমাদের কিছুটা অভিজ্ঞতা দেখা গেলেও ব্যাটিং বিভাগে কোনো রকম পরিবর্তন করতে হবে বলে আমার মনে হয় না। দিল্লিতে যেমন কন্ডিশন দেখে দল নির্বাচন করা হয়েছিল তেমনি রাজকোটেও প্রথমে পিচের কন্ডিশন দেখা হবে তারপরেই দল নির্বাচন করা হবে।
তবে আজকে সিরিজের দ্বিতীয় ম্যাচে রাজকোটে বৃষ্টির পূর্বাভাস দিয়েছে আবহাওয়া দপ্তর। কিন্তু রাজকোটের সৌরাষ্ট্র স্টেডিয়ামে জল নিকাশি ব্যবস্থা অত্যন্ত সুন্দর। তাই স্টেডিয়ামে তরফ থেকে জানানো হয়েছে যে যদি এক টানা বৃষ্টি না হয় তাহলে খেলা শুরু করতে তাদের কোনো রকম অসুবিধা হবে না, কিন্তু যদি একটানা 6-7 ঘন্টা বৃষ্টি হয় সেক্ষেত্রে ম্যাচ শুরু করতে অসুবিধা দেখা দিতে পারে। এছাড়াও পিচ কিউরেটর জানিয়েছেন যে রাজকোটের পিচ ব্যাটসম্যানদের জন্য অত্যন্ত সুবিধাজনক। এর থেকে এটাই বোঝা যাচ্ছে যে সিরিজের দ্বিতীয় ম্যাচে রানের বন্যা বয়ে যাবে।
এছাড়াও রোহিত শর্মা কে প্রশ্ন করা হয় ভারতের বোলিং বিভাগের উপর কি কোনো রকম বাড়তি চাপ থাকবে? এই প্রশ্নের উত্তরে রোহিত শর্মা বলেন যে দিল্লিতে আমরা দল হিসাবে হেরেছি, কোনো আলাদা ইউনিট হিসাবে নয়। তাই এই ম্যাচে আলাদা ভাবে কোনো বিভাগের উপর চাপ থাকবে না। এই ম্যাচে আমরা দল হিসাবেই জয়ের জন্য ঝাঁপিয়ে পড়বো।