বাংলা হান্ট নিউজ ডেস্ক: আরও একটা সিরিজ, আরও একটা জয়। এশিয়া কাপে ভারতের পারফরম্যান্স যতই হতশ্রী হয়ে থাকুক না কেন দ্বিপাক্ষিক টি-টোয়েন্টি সিরিজগুলিতে ভারতের দাপট অব্যাহত রয়েছে। গত টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে বিরাট কোহলির নেতৃত্বে একেবারে গ্রুপ পর্যায়ে থেকেই ছিটকে গিয়েছিল ভারতীয় দল। চিরপ্রতিদ্বন্দ্বী পাকিস্তানের বিরুদ্ধে লজ্জার হারের পর নিউজিল্যান্ডের বিরুদ্ধেও হেরে সেবারের ছিটকে গিয়েছিল ভারতীয় দল। এরপর বিরাট কোহলি নিজে থেকেই অধিনায়কত্ব থেকে সরে দাঁড়িয়েছিলেন এবং ভারতীয় নির্বাচকরা ভারতের নতুন অধিনায়ক হিসেবে রোহিত শর্মার নাম ঘোষণা করেছিলেন।
তারপর থেকে গত এক বছরে একাধিক টি-টোয়েন্টি সিরিজ খেলেছে ভারতীয় দল। রোহিত শর্মার নেতৃত্বে গত এক বছরে একটিও দ্বিপাক্ষিক সিরিজ হারেনি মেন ইন ব্লু। বিশ্বকাপের পর ঘরের মাটিতে ফাইনালিস্ট নিউজিল্যান্ডের বিরুদ্ধে টি-টোয়েন্টি সিরিজ জয় দিয়ে যে যাত্রা শুরু হয়েছিল, সম্প্রতি অস্ট্রেলিয়ার বিরুদ্ধে টি-টোয়েন্টি সিরিজের মধ্যে দিয়ে সেই যাত্রা এখনো অব্যাহত রয়েছে।
গত একবছরে একটাই টি-টোয়েন্টি সিরিজ জিততে পারেনি ভারতীয় দল। বছরের শুরুর দিকে ঘরের মাটিতে দক্ষিণ আফ্রিকার বিরুদ্ধে পাঁচ ম্যাচের টি-টোয়েন্টি সিরিজ ২-২ ফলে ড্র করেছিল ভারত। বৃষ্টির কারণে পঞ্চম ম্যাচটি খেলা সম্ভব হয়নি। তবে সেই সিরিজে চোটের কারণে ভারতের নেতৃত্বের দায়িত্বে ছিলেন না রোহিত।
বিরাট কোহলি ভারতের অধিনায়ক থাকার সময় টেস্ট ক্রিকেটে অভূতপূর্ব সাফল্য পেয়েছিল ভারত। অল্পের জন্য জেতা হয়নি টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপ। রোহিত শর্মার আমলে যেন টি-টোয়েন্টি ক্রিকেটে বৈপ্লবিক পরিবর্তন ঘটেছে ভারতীয় দলে। শুধুমাত্র দেশের মাটিতে নয় বিদেশের মাটিতে ইংল্যান্ড এবং ওয়েস্ট ইন্ডিজকে সিরিজে তাদেরকে পরাস্ত করে ফিরেছে রোহিত শর্মার নেতৃত্বাধীন ভারতীয় দল।
এর ফলে রোহিত শর্মা একটি অনন্য কীর্তি করে ফেলেছেন। তার আগে ২০১৬ সাল থেকে ২০২১ সাল অবধি অধিনায়কত্ব করে মোট ৩২ টি টি-টোয়েন্টি ম্যাচ ভারতকে জেতাতে পেরেছিলেন বিরাট কোহলি, যা ছিল ভারতীয় অধিনায়কদের মধ্যে দ্বিতীয় সর্বোচ্চ। একবছরেরও কম সময় পূর্ণদৈর্ঘ্যের অধিনায়ক থেকেই বিরাট কোহলির সেই রেকর্ডকে ছাড়িয়ে গেছেন রোহিত। মুহূর্তে তার ঝুলিতে অধিনায়ক হিসেবে ৩৩ টি টি-টোয়েন্টি ম্যাচ জয়ের অভিজ্ঞতা রয়েছে। শীর্ষস্থানে থাকা ধোনিকে ছাড়িয়ে যেতে গেলে তাকে আরও আটটি ম্যাচে জিততে হবে চলতি বছরেই হয়ে যেতে পারে সব ঠিকঠাক চললে। এটাও মনে রাখা দরকার যে ধোনি পূর্ণদৈর্ঘ্যের অধিনায়ক হিসেবে প্রায় নয় বছর দায়িত্ব পালন করেছিলেন, আর রোহিত মাত্র এক বছর দায়িত্ব পালন করছেন।