বাংলা হান্ট নিউজ ডেস্ক: এশিয়া কাপে ভারতের যাত্রা শুরু হয়েছে মসৃণভাবে। প্রথম ম্যাচে চিরপ্রতিদ্বন্দ্বী পাকিস্তানের বিরুদ্ধে ৫ উইকেটে জয় পেয়েছিলেন রোহিত শর্মার। পরের ম্যাচে খাতায়-কলমে অনেক দুর্বল হংকং কিছুটা লড়াই করলেও ভারত ৫০ রানের ব্যবধানে ম্যাচ জিতেছিল। গ্রুপ শীর্ষে থেকেই পরের রাউন্ডে যাওয়ার নিশ্চিত করেছে ভারত। রোহিত শর্মার নেতৃত্বাধীন দল আপাতত প্রায় সব কাজই ঠিকঠাকভাবে করেছে।
হংকংয়ের বিরুদ্ধে ম্যাচে সূর্যকুমার যাদব নিজের টি-টোয়েন্টি আন্তর্জাতিক কেরিয়ারের সেরা ইনিংস খেলেছেন। বিরাট কোহলি ছন্দে ফিরেছেন। ভুবনেশ্বর কুমার বাদে বাকি পেসাররা খুব একটা ছন্দে না থাকলেও যেহেতু চোট সারিয়ে ভোমরা বিশ্বকাপের আগে ফিরে আসবেন তাই সেই জায়গা নিয়ে আপাতত খুব বেশি চিন্তা করার কিছু থাকছে না। ভারতীয় দলের প্রায় সবকটি জায়গায় বিশ্বকাপের জন্য প্রস্তুত মনে হচ্ছে কেবলমাত্র একটি জায়গা বাদ দিয়ে। সেটা হল ওপেনার হিসেবে লোকেশ রাহুলের ফর্ম।
লোকেশ রাহুল টুর্নামেন্টের প্রথম ম্যাচে পাকিস্তানের বিরুদ্ধে নিজের খেলা প্রথম বলেই আউট হয়েছিলেন। যদিও সেদিন অনেকেই বলবেন যে কিছুটা দুর্ভাগ্যবশত তাকে আউট হতে হয়েছে। বল ব্যাটের কানায় লেগে যেমন উইকেটে লাগতে পারে তেমনি অনেক সময় এমনও দেখা যায় যে বল ইনসাউড এজ নিয়ে উইকেটের পাস দিয়ে বেরিয়ে গেছে এবং তারপর সেই ব্যাটারই ওখানে ভাগ্যের সহায়তা পেয়ে বড় রান করেছে। কিন্তু হংকং এর বিরুদ্ধে ম্যাচে অত্যন্ত ধীরগতিতে ব্যাটিং করে ৩৯ বল খেলে মাত্র ৩৬ রান করেছিলেন রাহুল।
এবার অফ ফর্মে থাকা রাহুলের পাশে দাঁড়ালেন ভারতের দুটি বিশ্বকাপ জয়ের ক্ষেত্রে সবচেয়ে বড় ভূমিকা পালন করা গৌতম গম্ভীর। উত্তম গম্ভীর বলেছেন যে এই মুহূর্তে রাহুল হয়তো ফর্মে নেই কিন্তু তিনি একজন দুর্দান্ত ব্যাপার। গম্ভীর বলেছেন, “রাহুলের অনেক প্রতিভা আছে। আর আমি যতদূর রোহিত শর্মাকে জানি, তাতে বলতে পারি যে ও অধিনায়ক হিসেবে ড্রেসিংরুমে প্রতিভাবান খেলোয়াড়দের উপস্থিতি পছন্দ করে। আমি আশা করি গত ম্যাচে রাহুল যে সময় ক্রিজে অতিবাহিত করেছে পরের ম্যাচে সেই একই সময়ে ক্রিজে অতিবাহিত করলে ও একটা বড় স্কোর করে ফিরবে।”
রাহুল নিজের ফর্মের তুঙ্গে থাকার সময় ঘরের মাঠে দক্ষিণ আফ্রিকার বিরুদ্ধে সিরিজের আগে চোট পেয়ে দীর্ঘদিনের জন্য ছিটকে গিয়েছিলেন। তারপরও জার্মানিকে অপারেশন করিয়ে ধীরে ধীরে রিহ্যাবের মাধ্যমে সুস্থ হয়ে গত জিম্বাবোয়ে সফরে গিয়ে মাঠে ফিরেছেন। চোট কাটিয়ে ফেরার পর চাপে ভুগছেন কিনা এই প্রশ্ন গম্ভীরের সামনে তুলে ধরা হলে তিনি বলেছেন, “চাপ সবসময়ই থাকবে। বিশেষ করে যখন বিশ্বকাপ এত কাছাকাছি রয়েছে। আপনি এই পরিস্থিতিতে সবসময় বড় রান করতে চাইবেন। ২০১১ বিশ্বকাপের আগে দক্ষিণ আফ্রিকা সফরে আমি যতটা চাপ অনুভব করেছিলাম ততটা জীবনে আর কোন সিরিজে করিনি কাজেই এটা খুব স্বাভাবিক ব্যাপার।”