বাংলাহান্ট ডেস্কঃ ৬ ই জানুয়ারি ৪৮-এ পা দিলেন চ্যাপলিন ওরফে টলি অভিনেতা রুদ্রনীল ঘোষ (rudranil ghosh)। কচিকাচাদের সঙ্গে নিজের জন্মদিন পালনের সকালেই কিছুটা বেসুরো সুর শোনা গেল তৃণমূল ঘনিষ্ঠ রুদ্রনীল ঘোষের গলায়। আবার তাঁকে জন্মদিনের শুভেচ্ছা জানাতে গোলাপ ফুল নিয়ে তারই বাড়িতে গেলেন বিজেপি নেতা শঙ্কুদেব পণ্ডা (Shankudeb Panda)।
বর্তমান পরিস্থিতিতে একুশের নির্বাচনকে পাখির চোখ করে এগোচ্ছে সকল রাজনৈতিক শিবির। চলছে দল ভাঙ্গনের খেলা। একদলের হেভিওয়েট নেতাদের গিয়ে নাম লেখাচ্ছেন অন্য দলে। দলের বিরুদ্ধে উগরে দিচ্ছেন একাধিক ক্ষোভ ভর্তি বিক্ষোভের ঝুড়ি। এই পরিস্থিতিতে বাংলার শাসক শিবির অর্থাৎ তৃণমূলে ভাঙ্গন অব্যাহত। শুভেন্দু অধিকারী দল ছাড়ার পর প্রতিদিনই কেউ না কেই গিয়ে হাতে তুলে নিচ্ছেন বিজেপির ঝাণ্ডা। এবার বেসুরো সুর শোনা গেল তৃণমূল ঘনিষ্ঠ রুদ্রনীল ঘোষের গলায়।
বুধবার ৪৮-এ পা দিলেন রুদ্রনীল ঘোষ। জন্মদিনের সকালটা আনন্দের সঙ্গে কাটালেন কচিকাচাদের সঙ্গে। সেখানেই তাঁর গলায় শোনা গেল, ‘যারা ঠিক কথা বলছেন বলে মনে করছেন, আমি তাদের সঙ্গেই এবার কথা বলা শুরু করব’। কিসের ইঙ্গির দিলেন রুদ্রনীল ঘোষ? তবে কি এবার তৃণমূলের ছত্রছায়া ত্যাগ করে হাতে তুলে নেবেন পদ্মফুলের পতাকা?
এই জল্পনা আরও উস্কে দিল বিজেপি নেতা শঙ্কুদেব পণ্ডার সঙ্গে তাঁর বৈঠক। জন্মদিনে তাঁর বাড়িতে শুভেচ্ছা জানাতে হাজির হলেন বিজেপি নেতা শঙ্কুদেব পণ্ডা। কথা হল বেশকিছুক্ষণ। এপ্রসঙ্গে রুদ্রনীল ঘোষ জানিয়েছেন, ‘শঙ্কুদেব আমাকে জন্মদিনের শুভেচ্ছা জানাতে এসেছিলেন। সাংবাদিক জীবন থেকেই ওঁর সঙ্গে আমার যোগাযোগ। রাজনীতির বিষয়েও কথা হয়েছে আমাদের মধ্যে। একসঙ্গে কাজ করার কথাও বলেছে। দেখি একটু চিন্তাভাবনা করি, এখনও কোন সিদ্ধান্তে পৌঁছাইনি’।
সূত্রের খবর, বিজেপির কেন্দ্রীয় সাধারণ সম্পাদক কৈলাশ বিজয়বর্গীয়র সঙ্গে বৈঠক করতে রাজী হয়েছেন রুদ্রনীল ঘোষ। এই বিষয়ে শঙ্কুদেব পণ্ডাকে জিজ্ঞেস করা হলে, তিনি কোন সদুত্তর দেননি। তবে তিনি বলেছেন, ‘রুদ্রদাকে শুভেচ্ছা জানাতে গোলাপ ফুল নিয়ে গেলিছলাম, আর বললাম এরপর পদ্মফুল নিয়ে যাব। পদ্মফুল খুব প্রিয় রুদ্রদার’।