বাংলা হান্ট ডেস্কঃ অভিনেতা রুদ্রনীল ঘোষ বিজেপিতে যোগদান করতে চলেছেন এই জল্পনা গত কয়েকদিন ধরেই চলছে। আর এরই মধ্যে তিনি নিজের দল তৃণমূলকে নিয়ে এক অস্বস্তিকর মন্তব্য করে বসলেন। বাংলার একটি সংবাদমাধ্যমকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে বাংলার চ্যাপলিন বলেন, ‘ত্রাণের টাকা, আমফানের টাকা সমেত নানারকম দুর্নীতির কালি লেগে গেছে তৃণমূলের গায়ে এখন মানুষই বলছে তৃণমূল চাল চোর। এত মানুষ কি আর মিথ্যে কথা বলবে। আমি গণদেবতাকে বিশ্বাস করি।”
তিনি বলেন, ‘আমি কি বললাম আর কি না বললাম সেটাতে কিছু যায় আসে না। চায়ের দোকান, বেডরুম থেকে সব জায়গায় মানুষ আলোচনা করছে।” তিনি বলেন, ‘মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এখনো যদি তৃণমূলের দুর্নীতিগ্রস্ত নেতাদের বিরুদ্ধে পদক্ষেপ না নেন, তাহলে বিকল্পের ভাবনা আসবেই। এই সমাজকে দুর্নীতি কুরে কুরে খাবে, সেটা কে চায়?” বিজেপি যোগ নিয়ে অভিনেতা বলেন, এখনো ভাবিনি কিছু। আমাকে ভাবার সময় দিন।
এছাড়াও আজ তিনি পুরোনো দল cpim কে নিশানা করে তোপ দাগলেন রুদ্রনীল। ধর্ম নিরপেক্ষ দেশ গড়ার দায় কী শুধু হিন্দুদের? প্রশ্ন তুললেন অভিনেতা। আনন্দবাজার পত্রিকাকে দেওয়া একটি সাক্ষাৎকারে অভিনেতা জানান, তিনি এখনো বিজেপি-র প্রতি ভীষণ রাগ হওয়ার কারণ খুঁজে পানননি। অনেকেই সিএএ ও এনআরসি, কৃষক আইন প্রভৃতি নিয়ে কথা বলছেন। কিন্তু সিএএ এবং এনআরসি নিয়ে কয়েক জন বামপন্থী যতটা বুঝে গিয়েছেন, অতটা বোধহয় বোঝেন নি তিনি।
রুদ্রনীলের সাফ কথা, ‘লোকে বলে, এই আইনটি নাগরিকত্ব কেড়ে নেওয়ার আইন। এ ভাবে ভুল বোঝানো হচ্ছে। এই আইন প্রণয়নের উদ্দেশ্য নাগরিকত্ব দেওয়া। আর তাদেরকে চিহ্নিত করা, যাদের নাগরিকত্ব নেই’। বামেদের পাশাপাশি শাসকদলকেও একই ইস্যুতে আক্রমণ করেছেন রুদ্রনীল। তিনি বলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বাম আমলে অনুপ্রবেশ নিয়ে অনেক কথা বললেও তিনি এই মুহুর্তে চুপ কেন?
বিজেপির সুরেই তিনি বলেন, ভারতের ধর্মনিরপেক্ষতা বজায় রাখার দায় কি শুধু হিন্দুদের? বাংলাদেশে যারা প্রতিদিন অত্যাচারিত হচ্ছেন তাদেত আশ্রয় দেওয়াটা কি অন্যায়? ভারতবর্ষে কিন্ত মুসলিমরা আর সংখ্যালঘু নয়। ওরা আর ৫ শতাংশে আটকে নেই।
প্রসঙ্গত, অভিনেতা রুদ্রনীল ঘোষের এই বছরের জন্মদিন এবার একটু অন্যরকম ভাবে উদযাপন করেছেন রুদ্রনীল। ইন্ডাস্ট্রির বন্ধুবান্ধবদের সঙ্গে পার্টি নয়, বরং বস্তিতে কচিকাঁচাদের সঙ্গেই জন্মদিন পালন করলেন রুদ্রনীল। রঙকল বস্তিতে আজ নয়, অনেকদিন থেকেই যাতায়াত রুদ্রনীলের। করোনা আবহে ২০২০টা কাটানোর পর তাই এ বছর জন্মদিনটা ওই বস্তির ছোট্ট মানুষগুলোর জন্যই তুলে রাখলেন অভিনেতা। কেক, শীতের জামাকাপড় নিয়ে তিনি পৌঁছে গেলেন বস্তিতে। সেখানেই কেক কেটে সকলের সঙ্গে সেলিব্রেট করলেন ৪৮ বছরের জন্মদিন।