বাংলাহান্ট ডেস্ক : ইউক্রেন রাশিয়া যুদ্ধের মধ্যেই তেজস্ক্রিয় বিকিরণের ভয়ে সিঁটিয়ে ছিল গোটা ইউক্রেনবাসী। পারমানবিক কেন্দ্রগুলিতে ক্রমাগত তেজস্ক্রিয় বর্জ্যের উপর বোমা নিক্ষেপ করছিল রাশিয়া। সমস্ত আশঙ্কাই সত্যি হল এবার। রাশিয়ার আক্রমনে আগুনের গ্রাসে ইউরোপের বৃহত্তম পারমাণবিক বিদ্যুৎ কেন্দ্র। ইউক্রেনের জাপোরিঝিয়া পারমাণবিক কেন্দ্রেই আগুন লাগার খবর পাওয়া গিয়েছে।
ইউক্রেনের পররাষ্ট্র মন্ত্রী দিমিত্রি কুলেবা ট্যুইট করে জানিয়েছেন এই কথা। সেখানে তিনি লেখেন, ‘রাশিয়ার সামরিক বাহিনী ইউরোপের বৃহত্তম পারমাণবিক বিদ্যুৎ কেন্দ্র জাপোরিঝিয়া এনপিপি কে চারিদিক থেকে ঘিরে ফেলেছে এবং ক্রমাগত গুলি চালানো হচ্ছে। আগুন ধরে গিয়েছে ইতিমধ্যেই। এটি যদি বিস্ফারিত হয় তাহলে ঘটনার ভয়াবহতা চেরনোবিলের থেকেও ১০ গুন বেশি হবে।’
এই বিদ্যুৎ কেন্দ্রের নিকটবর্তী শহর এনারগোদারের মেয়র দিমিত্রি অরলভ জানান ওই এলাকার বর্তমান পরিস্থিতির কথা। তিনি বলেন, ‘স্থানীয় বাহিনী এবং রুশ সেনাদের মধ্যে ভয়াবহ যুদ্ধ শুরু হয়েছে। অনেকেই আহত হয়েছেন এই লড়াইতে।’ একই সঙ্গে ওডেসা, বিলা সের্কভা এবং ভলিন ওব্লাস্টে জারি করা হয়েছে বিমান হামলার সতর্কতা। এই শহরগুলির সমস্ত মানুষকে মাটির নীচের বাঙ্কার গুলিতে আশ্রয়নিতে বলা হয়েছে।
#WATCH | Adviser to the Head of the Office of President of Ukraine Volodymyr Zelenskyy tweets a video of “Zaporizhzhia NPP under fire…”#RussiaUkraine pic.twitter.com/R564tmQ4vs
— ANI (@ANI) March 4, 2022
একই সঙ্গে ইতিমধ্যেই ইউক্রেনের একটি প্রধান বন্দরের দখল নিয়েছে রাশিয়া। দেশটিকে তার উপকূলরেখা থেকে বিচ্ছিন্ন করার প্রচেষ্টা চালাচ্ছে রুশ বাহিনী। এনেরগোদারের মেয়র সেখানকার মানুষদের বাড়িঘর ফেলে চলে না যাওয়ার পরামর্শই দিয়েছে। উপকূল রেখা থেকে ইউক্রেন বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়লে দেশটির অর্থনীতিতে আরও ভয়াবহ প্রভাব পড়বে, সেই কারণেই এহেন সিদ্ধান্ত নিয়েছেন অরলভ।
প্রসঙ্গত ক্রমেই ইউক্রেনে বাড়ছে তেজস্ক্রিয় বিকিরণের আশঙ্কা৷ ক্রমাগত জটিল হয়ে উঠছে পরিস্থিতি। তৃতীয় বিশ্বযুদ্ধ হলে তা পরমাণু যুদ্ধ ছাড়া আর কিছুই হবে না এই হুঁশিয়ারি বিশ্বকে দিয়েছে রশিয়া। ফলে এহেন ভয়াবহ সমস্যার সমাধান ঠিক কোথায়, আপাতত সেদিকেই তাকিয়ে বিশ্ববাসী।