বাংলাহান্ট ডেস্ক: নিয়োগ দুর্নীতিতে নাম জড়ানোয় ইডির রাডারে রয়েছেন তিনি। দ্বিতীয় বার তদন্তকারীদের মুখোমুখি না হওয়ায় নতুন করে বিতর্কও হয়েছিল। কিন্তু সায়নী ঘোষ (Saayoni Ghosh) নিরুত্তাপ। এতদিন পঞ্চায়েত ভোট (Panchayat Election) উপলক্ষে তৃণমূলের (Trinamool Congress) প্রচারে ব্যস্ত ছিলেন তিনি। প্রচার শেষ, ভোট শেষ। এবার একুশে জুলাইয়ের সভার খুঁটিপুজোয় ব্যস্ত হয়ে পড়লেন সায়নী।
আর এক সপ্তাহ পরেই তৃণমূলের শহিদ দিবস। এ বছরেও ধর্মতলায় বড়সড় সভা করার পরিকল্পনা রয়েছে রাজ্যের শাসক দলের। শুক্রবার সমাবেশ স্থলে খুঁটিপুজোয় অংশ নিল কর্মসূচির আহ্বায়ক যুব তৃণমূল। সেখানেই উপস্থিত থাকতে দেখা গেল সভানেত্রী সায়নীকে।
এদিন পঞ্চায়েত ভোটে হিংসার ব্যাপারে কিছু না বললেও তৃণমূলের জয় নিয়ে বড় বয়ান দেন তিনি। সায়নী বলেন, রাখে হরি মারে কে আর মারে হরি রাখে কে। পঞ্চায়েত ভোটের ফলাফলে বাংলার মানুষই বুঝিয়ে দিয়েছেন যে তারা মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কেই চায়।
ইডির ডাক নিয়েও মুখ খোলেন সায়নী। কটাক্ষ করে তিনি বলেন, তদন্তকারীদের উপরে অনেক রকম চাপ থাকে। তাই তারা তলব করতেই পারেন। এ বিষয়ে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের প্রসঙ্গ তুলে তিনি বলেন, তৃণমূলের নবজোয়ারকেও আটকানোর চেষ্টা করা হয়েছিল। কিন্তু লাভ কিছুই হয়নি।
নাম না করেই কেন্দ্রকে কটাক্ষ করেছেন সায়নী। ভোটের আগে ‘বহিরাগত’ থেকে ভোট হিংসার ব্যাপারে তদন্ত করতে কেন্দ্রের ফ্যাক্ট ফাইন্ডিং টিম আসা নিয়েও ব্যঙ্গ করতে ছাড়েননি তিনি। সায়নীর কথায়, মণিপুর বা উত্তরপ্রদেশে কখনোই যায় না এই টিম। শুধু বাংলাতেই আসে। তাই এখানে একটি বাড়ি ভাড়া করে তাদের পাকাপাকি ভাবে থেকে যাওয়ার পরামর্শ দিয়েছেন সায়নী।
প্রসঙ্গত, গত ৫ জুলাই দ্বিতীয় বার সায়নীকে ডেকে পাঠানো হয় ইডির তরফে। কিন্তু তিনি আর হাজিরা দেননি। প্রচারের কারণ দেখিয়ে নথিপত্র দিয়ে নিজের আইনজীবীকে পাঠান সায়নী। তারপর থেকেই সুযোগ পেলেই কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থাকে কটাক্ষ শানাচ্ছেন তিনি।
‘ভারত আজ পর্যন্ত অলিম্পিকে সোনা পায়নি …’ ভরা মঞ্চে বেফাঁস মমতা