বাংলাহান্ট ডেস্ক: সুশান্ত সিং রাজপুতের (sushant singh rajput) আকস্মিক মৃত্যুর পর কেটে গিয়েছে দীর্ঘ এগারো মাস। গত বছর ১৪ জুন বান্দ্রার ফ্ল্যাট থেকে উদ্ধার হয়েছিল অভিনেতার ঝুলন্ত দেহ। এখনো জানা যায়নি অভিনেতার রহস্য মৃত্যুর কারণ। সিবিআই এখনো তদন্ত চালিয়ে যাচ্ছে সুশান্তের মৃত্যু নিয়ে। তবে আত্মহত্যা বা খুন কোনো সম্ভাবনাই উড়িয়ে দিচ্ছে না সিবিআই।
সুশান্তের মৃত্যুর পরপরই এক ব্যক্তি উঠে আসেন লাইমলাইটে। কারণ, হুবহু প্রয়াত সুশান্তের মতোই দেখতে তাঁকে। সুশান্তের সঙ্গে বেশ মিল রয়েছে সচিন তিওয়ারির। সুশান্তের মৃত্যুর পর বেশ কয়েকটি ছবি, ভিডিও ভাইরাল হয় সচিনের। অভিনেতার ছবির সংলাপ বলে কয়েকটি ভিডিও শেয়ার করেন সচিন যেগুলো মুহূর্তে ভাইরাল হয়ে যায়।
সচিনের মধ্যে দিয়েই সুশান্ত ফিরে এসেছেন আবার, এমনি মন্তব্য করেন নেটিজেনরা। এরপরেই সুশান্তের বায়োপিকে অভিনয় করার সুযোগ পান সচিন। সুশান্তের জীবন থেকে অনুপ্রাণিত ‘সুইসাইড অর মার্ডার: এ স্টার ওয়াজ লস্ট’ ছবিটি পরিচালনা করছেন বিজয় শেখর। সোশ্যাল মিডিয়ায় ছবির ঘোষনা করে প্রথম পোস্টার প্রকাশ্যে আনেন তিনি। পরিচালক লেখেন, ‘ছোট শহরের এক ছেলে ইন্ডাস্ট্রির তারকা হয়ে ওঠে। এটা তার জার্নি।’
এর আগে এক সংবাদ মাধ্যমের সঙ্গে সাক্ষাৎকারে পরিচালক বিজয় শেখর বলেন, “সুশান্ত সিং রাজপুতের আত্মহত্যা আমাদের সবার কাছে আশ্চর্যজনক ছিল। কিন্তু এটা নতুন নয়। অনেকেই ইন্ডাস্ট্রিতে বড় স্বপ্ন নিয়ে আসে কিন্তু শেষমেষ কোনও কাজ পায় না। অনেকে এই পথটা বেছে নেয় আবার অনেকে বাকি জীবনটা স্ট্রাগল করেই কাটায়। ছোট শহরের অভিনেতা যাদের ইন্ডাস্ট্রিতে কোনও গডফাদার নেই তাদের স্ট্রাগলটা দেখাতে চাই আমরা।”
প্রসঙ্গত, সম্প্রতি সুশান্তের এক বছরের মৃত্যুবার্ষিকীর আগে একটি মন ভালো করা খবর পাওয়া গিয়েছে। বাংলা পাঠ্যবইয়ে ব্যবহৃত হয়েছে অভিনেতার ছবি। কোনো ব্যক্তি বা পরিবার বোঝাতে সুশান্তের পাঠ্যবইয়ে ব্যবহার হয়েছে। সেই পাঠ্যবইয়ের ছবি এখন ভাইরাল সোশ্যাল মিডিয়ার দৌলতে।
‘জাস্টিস ফর সুশান্ত’ এর অন্যতম মুখ তথা সুশান্তের ঘনিষ্ঠ বন্ধু স্মিতা পারেখ পাঠ্যবইয়ের ছবিটি শেয়ার করে লিখেছেন, ‘আরেকটি বাংলা বইতে পরিবারের বাবার কথা বোঝাতে সুশান্তের ছবি ব্যবহার হয়েছে। আমাদের শিক্ষা দপ্তরও এটাই ভাবে যে সুশান্তই সেরা। ওকে নিয়ে গর্ব হয়।’ আবার আরেকটি বইতে মানুষ বোঝাতে অভিনেতার ছবির ব্যবহার করা হয়েছে।