দুঃখ বাড়ল চীনের কপালে! আমেরিকা, জাপান, অস্ট্রেলিয়ার সাথে বৈঠক করল ভারত

বাংলাহান্ট ডেস্কঃ পূর্ব লাদাখে আর চলবে না চীনের (China) জারিজুরি। সীমান্ত এলাকা নিয়ে আর কোন রকম আপোষ করতে চায় না ভারত (India), একথা সাফ জানিয়ে দিয়েছে। জাপানের টোকিওতে এক বৈঠকে ভারতের বিদেশ মন্ত্রী এস. জয়শঙ্কর নাম না করেই চীনকে হুঁশিয়ারি দিয়েছেন।

চীন সরকার একথা খুব ভালো করেই জানে, লাদাখে এবং অন্য LAC-তে তারা যেটা করছে, সেটা একেবারেই ঠিক কাজ নয়। এদিকে আবার তারা ভারতের সীমান্তে সমস্যার সমাধানে আলোচনায় তারা অংশ নিতে চায় না। তবে বিভিন্ন বৈঠকের মাধ্যমে আশা করা গিয়েছিল, চীনা সেনারা পিছু হটবে। কিন্তু তারা পিছু না হটে, উল্টে আক্রমণাত্মক ভন্তিতে প্রকাশ্যে আসছে।

pangong tso lake 15

পূর্ব লাদাখে প্যাঙ্গক সো লেকের ধারে দুই দেশের সেনারা মুখোমুখি রয়েছে। যে কোন মুহূর্তেই যুদ্ধের দামামা বেজে উঠতে পারে। আগামী ১২ ই অক্টোবর কমান্ডার লেভেলে আরও একটি বৈঠক রয়েছে ভারত চীনের মধ্যে। আশা করা যাচ্ছে, এই বৈঠকে চীন নমনীয় ভাবে সীমান্ত সমস্যা সমাধানে এগিয়ে আসবে।

পূর্ব লাদাখের পাশাপাশি দক্ষিণ চীন সাগরেও চীন যুদ্ধের পরিস্থিতি তৈরি করে রেখেছে। দক্ষিণ চীন সাগরে চীন সরকারের একচেটিয়া আধিপত্য এবং তাইওয়ানের উপর তাদের কতৃত্ব ফলাতে চীন সর্বদা মুখিয়ে রয়েছে। সমুদ্রে চীনের এই দাদাগিরি রুখতে আমেরিকা দক্ষিণ চীন সাগরে তাদের যুদ্ধ জাহাজ মজুত রাখার পাশাপাশি, যুদ্ধের মহড়াও দিচ্ছে।

img 4052

জমি মাফিয়া চীন সরকার দক্ষিণ চীন সাগরকে নিজের অংশ বলে মনে করে। সেখানকার সকল দ্বীপকে নিজের অংশ বলে দাবি জানায়। ভিয়েতনাম, মালেয়শিয়া, ফিলিপিন, তাইওয়ান এর বিরোধ করলে, তাদের উপর অত্যাচারের হুমকিও দেওয়া হয়। দক্ষিণ চীন সাগরে খনিজ সম্পদের প্রাচুর্য্য থাকায়, চীন সরকার সেখানে নিজের আধিপত্য ফলাতে যায়।

অন্যদিকে ইস্ট চায়না সমুদ্রে অবস্থিত জাপানী দ্বীপ গুলকেও নিজের বলে দাবি করে চীন। সেখানেও যুদ্ধের মহড়া দেয় চীনা যুদ্ধ জাহাজ। সেখানকার সেনকাফু দ্বীপকে চীন নিজের বলে জানিয়ে জাপানের সঙ্গে বিরোধে লিপ্ত হচ্ছে। কিন্তু সেখানে থাকা আমেরিকার যুদ্ধ বিমান তাদের যোগ্য জবাব দেওয়ার হুঁশিয়ারি দিয়েছে।


Smita Hari

সম্পর্কিত খবর