বাংলাহান্ট ডেস্ক: আচার্য চাণক্য (Acharya Chanakya) কেবল মাত্র অর্থনীতি নয়, আরও বহু জিনিসেরই সমাধান দিয়ে গেছেন। তাঁর দেওয়া নীতি মেনে চললে মানুষ সুখের একটি জীবন পেতে পারবে। এই বিখ্যাত অর্থনীতিবিদ দম্পতিদের জন্যেও বেশ কয়েকটি নিয়ম বলেছিলেন। যেগুলি মেনে চললে বৈবাহিক জীবন কাটবে সুখে ও শান্তিতে। এই নীতিগুলি রোজ মেনে চললে স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে কোনও দূরত্ব আসবে না। এই নীতিগুলি আচার্যের বই চাণক্য নীতিতে বলা রয়েছে।
১। স্বামী-স্ত্রীয়ের পরস্পরকে সম্মান করা উচিত
পরস্পরের প্রতি সম্মানই একটি সুখী দাম্পত্যের চাবিকাঠি। এমনটাই বলেছেন আচার্য চাণক্য। তিনি বলেছেন, একটি সম্পর্ক সুখের হয় যখন তাতে ভালবাসার সঙ্গে সম্মান থাকে। ফলে স্বামী ও স্ত্রীয়ের সব সময়েই একে অপরকে সম্মান করে চলতে হবে।
২। অহঙ্কার পতনের মূল
আচার্য চাণক্যের মতে, যে কোনও সম্পর্কের পতন হয় সেখানে অহঙ্কার চলে এলে। স্বামী ও স্ত্রী একটি গাড়ির দু’টি চাকার মতো। দু’টি চাকা একসঙ্গে গড়ালে তবেই গাড়ি চলতে পারে। তেমনই একটি সম্পর্কেও অহঙ্কার থাকলে সেটি ভাল ভাবে চলতে পারে না। তাই স্বামী ও স্ত্রী দু’জনেরই বেশি অহঙ্কার দেখানো যাবে না।
৩। স্বামী-স্ত্রীকে ধৈর্য ধরতে হবে
দাম্পত্যে কঠিন সময় আসতেই পারে। কিন্তু এই কঠিন সময়ে সব থেকে জরুরি হল ধৈর্য ধরে থাকা। ধৈর্য ধরলে যে কোনও কঠিন সময়ের মোকাবিলা করা সম্ভব। এতে সমস্যাও কেটে যায় এবং সম্পর্কে সুখ শান্তি ফিরে আসে। তাই স্বামী ও স্ত্রী উভয়কেই ধৈর্য ধরতে হবে।
৪। সম্পর্কের গোপন কথা তৃতীয় ব্যক্তির সঙ্গে আলোচনা করবেন না
যে কোনও সম্পর্কের ভিত হল ভরসা। আপনার সঙ্গী আপনাকে ভরসা করেন বলেই আপনার সঙ্গে আছেন। তাই তাঁর ভরসা ভাঙবেন না। নিজেদের সম্পর্কে যতই সমস্যা আসুক না কেন, বাইরের কারও সঙ্গে সেগুলি আলোচনা করবেন না। এতে আপনার সঙ্গীর মনে হতে পারে যে আপনি তাঁকে সম্মান করেন না। তিনিও আর আপনার উপর ভরসা করতে পারবেন না। তাই গোপন কথা গোপনে মিটিয়ে নেওয়াই ভাল। অযথা বাইরের মানুষকে টেনে আনা উচিত নয়।
আচার্য চাণক্যের এই নীতি মেনে চললে আপনার বৈবাহিক জীবনে সর্বদা সুখ ও শান্তি বিরাজ করবে।