বাংলা হান্ট ডেস্ক: বর্ষাপ্রেমী বাঙালি কম নেই। ঝিরিঝিরি বৃষ্টি নামলেই মন উড়ে যায় প্রকৃতির কাছে। বর্ষায় বেড়াতে যাওয়া অনেকের কাছেই রোমাঞ্চের মতো। বৃষ্টিভেজা পাহাড় থেকে পাহাড়ি ঝর্নায় পা ভেজানো এক অদ্ভুত প্রশান্তি থাকে মনে। প্রকৃতির এই রূপ এখানে না এলে নিজের চোখকে বিশ্বাস করতে পারবেন না। স্বল্প বাজেটে ও অল্পদিনের ছুটিতে ঘুরতে যেতেই পারে হিমালয়ের কোলে সান্দাকফু (Sandakphu) যাওয়ার পথে ছোট্ট জনপদ টুমলিংয়ে।
কম সময়ে ঘুরে আসতে পারেন সান্দাকফুর টুমলিংয়ে (Sandakphu)
হিমালয়ের কোলে অবস্থিত সান্দাকফু (Sandakphu)। সান্দাকফু যাওয়ার পথে সৌন্দর্যের ডালি নিয়ে অবস্থান ছোট্ট জনপদ টুমলিং (Tumling)। টুমলিং পূর্ব নেপালের ইলাম জেলার পাহাড়ি গ্রাম। ভ্রমণপ্রিয় মানুষদের আনাগোনার জন্য পর্যটনশিল্পকে ঘিরেই গড়ে উঠেছে টুমলিংয়ের বসতি। রয়েছে এখানে মনোরম পরিবেশে ও রডোডেনড্রনের বাগান (Rhododendron)।
পাশাপাশি এখান থেকে বিশ্বের সর্বোচ্চ শৃঙ্গ এভারেস্টের হাতছানি তো আছেই। কিন্তু এখানে বাড়ি বলতে হাতেগোনা কুড়ি-পঁচিশের বেশি নয়। তাদের মধ্যে বড়সড় কাঠামো বলতে ছ’-সাতটা হোমস্টে। বাদ বাকি বেশির ভাগই কাঠের ছোট ছোট বাড়ি। এছাড়াও এখানে বসবাসকারী মানুষের সংখ্যাও খুব বেশি নয়। উল্লেখ্য, টুমলিং জায়গাটির জাতীয় সড়ক বাদে সম্পূর্ণ বসতি নেপালের অন্তর্গত। এবার টুমলিংয়ে গেলে সেখানে ২রাত কাটিয়ে মানেভঞ্জ্যাং, মেঘমা, টংলু ভিউ পয়েন্ট ঘুরে আসতে পারেন।
কি ভাবে যাবেন?
হাওড়া অথবা শিয়ালদা থেকে নিউ জলপাইগুড়ি ট্রেন ধরতে হবে। এবার সেখান থেকে গাড়ি বুক করে চলে যান মানোভঞ্জন। এখানে যেতে সময় লাগবে চার ঘন্টা। সেখান থেকে আবার সড়কপথে ঘন্টা খানেক পথ পেরোলে পৌঁছবেন টুমলিং। টুমলিং এ ২রাত কাটাতে পারেন। রাতের টুমলিং এর সৌন্দর্য আলাদা। এখানকার পরিবেশ আপনার মন ভালো করতে বাধ্য।
আরও পড়ুন: বিয়ের মরশুমে আরও দামি সোনা ও রুপো, আজ কত হল ১ গ্রামের রেট? জানুন
কোথায় থাকবেন?
সান্দাকফু (Sandakphu), টুমলিং (Tumling),মানেভঞ্জ্যাং(Maneybhanjyang) প্রধানত পর্যটক কেন্দ্রিক জায়গা। এখানে আপনি থাকার জন্য পাবেন বেশ কিছু হোমস্টে। পছন্দ মতো কোন একটি হোম স্টে আগের থেকে বুক করে গেলে ভালো হবে। তাতে থাকার বিষয়টি নিয়ে চাপ কম থাকবে।