বাংলা হান্ট ডেস্কঃ গত জানুয়ারি মাস থেকে সংবাদের শিরোনামে রয়েছে সন্দেশখালি (Sandeshkhali)। স্থানীয় তৃণমূল নেতা শেখ শাহজাহানের বিরুদ্ধে স্থানীয় মহিলাদের প্রতিবাদ দেখেছে গোটা রাজ্য। লাঠি-ঝাঁটা হাতে রীতিমতো রাস্তায় নেমেছিলেন তাঁরা। তবে ভোটের মুখে ‘খেলা’ ঘুরিয়ে দিল তৃণমূল (TMC)! সন্দেশখালির আন্দোলনকারীরাই এবার যোগ দিলেন ঘাসফুলে।
চব্বিশের লোকসভা নির্বাচনে (Lok Sabha Election 2024) বসিরহাট কেন্দ্রে হাজি নুরুল ইসলামকে দাঁড় করিয়েছে জোড়াফুল শিবির। আজ তাঁর সমর্থনে প্রচারে এসেছিলেন রাজ্যের দমকলমন্ত্রী সুজিত বসু। যদিও ব্যস্ততার কারণে সেই সভায় উপস্থিত থাকতে পারেননি বসিরহাটের ঘাসফুল প্রার্থী। এই প্রসঙ্গে সুজিত (Sujit Bose) বলেন, ব্যস্ততার কারণে অন্যত্র যেতে হয়েছে হাজি নুরুলকে।
বসিরহাটের প্রার্থী উপস্থিত না থাকলেও, এদিন দমকলমন্ত্রীর হাত থেকে তৃণমূলের (Trinamool Congress) পতাকা তুলে নেন সন্দেশখালির আন্দোলনকারীরা। শাসক দলে যোগ দেওয়ার পরেই বিজেপিকে একহাত নেন তাঁরা। আন্দোলনের সুযোগে গেরুয়া শিবির রাজনৈতিক ফায়দা তোলার চেষ্টা করছে, এহেন মন্তব্যও শোনা যায় তাঁদের মুখে।
আরও পড়ুনঃ সারপ্রাইস! ডায়মন্ড হারবারে অভিষেকের বিরুদ্ধে BJP-র মাস্টারস্ট্রোক, প্রার্থী হচ্ছেন…
তৃণমূলে যোগদান প্রসঙ্গে সন্দেশখালির আন্দোলনকারীরা বলেন, ‘আমাদের দলবল বাড়ছে। আমরা একটা অরাজনৈতিক আন্দোলন করেছিলাম। সেটার সুযোগ নিয়ে বিজেপি রাজনৈতিক ফায়দা তুলছে। এই কারণে প্রার্থীও করেছে। সবাই একসঙ্গে থাকব, আমরা এটা ভেবেছিলাম। তবে ওঁরা আমাদের বিভক্ত করছে। আমাদের আন্দোলন বিশ বাঁও জলে ফেলে দিয়ে চলে গিয়েছে’।
সন্দেশখালির আন্দোলনকারীদের তৃণমূলে যোগ দেওয়া প্রসঙ্গে দমকলমন্ত্রী সুজিত বলেন, ‘সন্দেশখালিতে কিছু ঘটনা ঘটেছে সেটা স্বীকার করছি। এখানে অন্যায় হয়েছিল, অনেকেই গ্রেফতারও হয়েছেন। তবে দিদি সেই ঘটনার প্রতিবাদ করেছেন। জোর করে আদিবাসীদের জমি দখল করা যাবে না, জানিয়ে দিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী। একইসঙ্গে জমি ফেরানোর ব্যবস্থা হয়েছে। সরকারের বিশ্বাস করুন। বিজেপিকে বিশ্বাসের ভুল করবেন না’।
প্রসঙ্গত, সন্দেশখালি কাণ্ডের পর একাধিকবার এই ঘটনা নিয়ে সুর চড়িয়েছে বিজেপি। সম্প্রতি উত্তরবঙ্গে সভা করতে এসেও এই নিয়ে কথা বলেন প্রধানমন্ত্রী। শুধু তাই নয়, সন্দেশখালি আন্দোলনের অন্যতম ‘মুখ’ রেখা পাত্রকে বসিরহাট আসন থেকে টিকিটও দিয়েছে গেরুয়া শিবির। এমতাবস্থায় সুজিত বসুর হাত ধরে আন্দোলনকারীদের তৃণমূলে যোগদানের বিষয়টিকে তাৎপর্যপূর্ণ হিসেবে দেখছে ওয়াকিবহাল মহল।