বাংলাহান্ট ডেস্ক: গুরুতর অসুস্থ গীতশ্রী সন্ধ্যা মুখোপাধ্যায় (sandhya mukhopadhyay)। তড়িঘড়ি হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে তাঁকে। এস এস কে এমের উডবার্ন ব্লকে ভর্তি করা হয়েছে বর্ষীয়ান গায়িকাকে। গ্রিন করিডর করে তাঁকে নিয়ে আসা হয় হাসপাতালে। শোনা যাচ্ছে, খবর পেয়ে হাসপাতালে যাওয়ার কথা রয়েছে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।
গত ২৩ জানুয়ারি বাথরুমে পড়ে গিয়েছিলে সন্ধ্যা মুখোপাধ্যায়। তারপর থেকেই অসুস্থ হয়ে পড়েছিলেন তিনি। শরীরে ব্যথা অনুভব করছিলেন তিনি। গতকাল সন্ধ্যা থেকে গায়িকার শারীরিক অবস্থার অবনতি হতে শুরু করে। শ্বাসকষ্টের সমস্যার কথা জানান গায়িকা। তাঁর ফুসফুসে সংক্রমণ রয়েছে বলে জানা গিয়েছে। রয়েছে জ্বর। হয়েছে আরটিপিসিআর পরীক্ষা।
বৃহস্পতিবার দুপুরে গ্রিন করিডর করে এস এস কে এম হাসপাতালে নিয়ে আসা হয় সন্ধ্যা মুখোপাধ্যায়কে। সংবাদ মাধ্যম সূত্রে খবর, সে সময়ে তন্দ্রাচ্ছন্ন অবস্থায় ছিলেন তিনি। উডবার্ন ব্লকে রাখা হয়েছে গায়িকাঅএ। চিকিৎসক সোমনাথ কুণ্ডুর নেতৃত্বে একটি মেডিক্যাল বোর্ড গঠন করা হয়েছে। সেখানে রয়েছে কার্ডিওলজিস্ট, মেডিসিন বিশেষজ্ঞ। তৃণমূল বিধায়ক মদন মিত্র পৌঁছেছেন গায়িকাকে দেখতে। তাঁর অভিযোগ, পদ্মশ্রী পুরস্কার দেওয়ার অপমানেই মানসিক অবস্থার অবনতি হয় সন্ধ্যা মুখোপাধ্যায়ের।
প্রতি বছর প্রজাতন্ত্র দিবসের আগের দিনই পদ্ম পুরস্কার প্রাপকদের তালিকা ঘোষনা করা হয় কেন্দ্রের তরফে। এ বছরও তার অন্যথা হয়নি। পদ্মশ্রী পুরস্কার প্রাপকদের তালিকায় নাম ছিল বর্ষীয়ান শিল্পী সন্ধ্যা মুখোপাধ্যায়ের। কিন্তু সে সম্মান ফিরিয়ে দেন গীতশ্রী।
সংবাদ মাধ্যম সূত্রে খবর, ২৫ জানুয়ারির সন্ধ্যায় গায়িকার বাড়িতে ফোন এসেছিল দিল্লি থেকে। নিয়ম মেনে পুরস্কার প্রাপকদের কাছে অনুমতি চাইতেই করা হয়েছিল ফোন। কিন্তু কথা শেষ হওয়ার আগেই সবিনয়ে পুরস্কার প্রত্যাখ্যান করেন গীতশ্রী।
নব্বই ছুঁয়েছে সন্ধ্যা মুখোপাধ্যায়ের বয়স। সারা জীবন একনিষ্ঠ ভাবে সঙ্গীতের সাধনাই করে এসেছেন তিনি। প্রথমে শিল্পী গিরিজাশঙ্কর চক্রবর্তীর কাছে গান শিখেছেন। তারপর উস্তাদ বড়ে গুলাম আলি খানের কাছে তালিম নিয়েছেন। সন্ধ্যা মুখোপাধ্যায়ের সুরেলা কণ্ঠ বারবার মুগ্ধ করেছে আপামর বাঙালিকে। এমন একজন প্রবাদপ্রতিম শিল্পীকে এই বয়সে পদ্মশ্রী সম্মান দেওয়া তাঁর অপমান বলেই মনে করছে শিল্পী মহল।