বাংলাহান্ট ডেস্ক : এবার মারাত্মক অভিযোগ উঠল পশ্চিমবঙ্গ পুলিশ রিক্রুটমেন্ট বোর্ডের বিরুদ্ধে। অভিযোগ, পুলিশে নিয়োগে পরীক্ষার আগেই স্যোশাল মিডিয়ায় দেদার বিকোচ্ছে প্রশ্নপত্র। আর এরই প্রতিবাদে কোচবিহারের জেলা শাসকের কাছে স্মারকলিপি জমা দিলেন চাকরি প্রার্থীরা।
আবারও কালিমালিপ্ত পশ্চিমবঙ্গ পুলিশ রিক্রুটমেন্ট বোর্ড। পশ্চিমবঙ্গ পুলিশের মেনস পরীক্ষায় আগেই সোশ্যাল মিডিয়ায় প্রশ্নপত্র বিক্রির অভিযোগে সরব পরীক্ষার্থীরা। কোচবিহারের জেলা শাসকের কাছে এই মর্মে স্মারকলিপি জমা দিয়ে বিক্ষোভও দেখান পরীক্ষার্থীরা।
তাঁদের দাবি, ওই প্রশ্নপত্র অবিলম্বে বাতিল ঘোষণা করতে হবে। একই সঙ্গে নতুন করে প্রশ্নপত্র বানিয়ে স্বচ্ছভাবে পরীক্ষা নিতে হবে পুলিশ রিক্রুটমেন্ট বোর্ডকে। প্রশ্নপত্র বিক্রির একই সঙ্গে অর্থের বিনিময়ে চাকরি পাইয়ে দেওয়ার অভিযোগও তোলেন তাঁরা। শুধুমাত্র কোচবিহার জেলাতেই রয়েছেন প্রায় ২ হাজার চাকরি প্রার্থী। এদিন স্বচ্ছ পরীক্ষার দাবিতে একত্রিত হয়ে প্রতিবাদ এবং বিক্ষোভে সামিল হন তাঁরা।
সম্প্রতি, এসএসসি কেলেঙ্কারি মামলায় নাম জড়িয়েছে রাজ্যের তাবড় নেতা মন্ত্রীদের এসএসসিতে দুর্নীতি করে নিয়োগের অভিযোগে সিবিআই দপ্তরে হাজিরা দিতে হয়েছে রাজ্যের প্রাক্তন শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায় এবং বর্তমান শিক্ষা প্রতিমন্ত্রী পরেশ অধিকারীকে। অন্যায়ভাবে নিয়োগের অভিযোগে হাইকোর্টের নির্দেশে চাকরি খুইয়েছেন পরেশ কন্যা অঙ্কিতা অধিকারী। চাকরিজীবনে পাওয়া সমস্ত বেতনও আদালতের কাছে দুটি কিস্তিতে ফিরিয়ে দিতে হবে তাঁকে।
শুধু কন্যাই নয়, পরিবারের নিকট আত্মীয় অন্তত ২৫ জনকে সরকারি চাকরি পাইয়ে দেওয়ার অভিযোগও সামনে এসেছে পরেশ অধিকারীর বিরুদ্ধে। অন্যদিকে এসএসসি কেলেঙ্কারি মামলায় পার্থ চট্টোপাধ্যায়কে আইনি রক্ষাকবচ দিতে অস্বীকার করেছে আদালত। সব মিলিয়ে তুমুল অস্বস্তিতে রাজ্যের শাসক শিবির। এরই মধ্যে আবার পুলিশ রিক্রুটমেন্টের প্রশ্নপত্র বিক্রির অভিযোগে যে আরও এককাঠি বাড়ল সেই অস্বস্তি তা বলাই বাহুল্য।