বাংলা হান্ট ডেস্ক : ফের এক নতুন মোড় শিক্ষক নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় (Recruitment Scam)। আদালতে সিবিআই দাবি করেছে, পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের (Partha Chatterjee) বাড়িতে গ্রুপ সির (School Service Commission Group C) চাকরি বিক্রির দফতর চলত। এবার এসএসসির প্রাক্তন চেয়ারম্যান সুবীরেশ ভট্টাচার্যের (Subiresh Bhattacharya) বিরুদ্ধেও সেই একই অভিযোগ উঠে এল। সুবীরেশের বাড়িতে চাকরি চুরির শাখা অফিস চলত বলে দাবি তদন্তকারী সংস্থার।
সুবীরেশের বাড়িও ঘুঘুর বাসা : সিবিআই সূত্রে খবর, গ্রুপ সি পদে চাকরি বিক্রির পরিকল্পনায় শুধু প্রাক্তন শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের বাড়িই ব্যবহার করা হয়নি। সুবীরেশ ভট্টাচার্যের বাড়িতেও চলত নানা পরিকল্পনা। সিবিআই অফিসারদের একাংশের মতে, পার্থর বাড়ি যদি চাকরি বিক্রির হেড অফিস হয়, তাহলে সুবীরেশের বাড়ি ছিল শাখা অফিস।
কী দাবি কেন্দ্রীয় সংস্থার? সিবিআই সূত্রে খবর, কীভাবে প্রযুক্তিকে কাজে লাগিয়ে ওএমআর শিট জালিয়াতি হবে, সে বিষয়ে একাধিক বৈঠক হয়েছিল সুবীরেশ ভট্টাচার্যর বাড়িতে। সিবিআই সূত্রে খবর, সুবীরেশের উপস্থিতিতে ওই বৈঠকে উপস্থিত থাকতেন নাইসার (NYSA) ভাইস প্রেসিডেন্ট নীলাদ্রি দাস ও এসএসসির প্রোগ্রামিং অফিসার পর্ণা বসু।
সূত্রের খবর, বাড়ির পাশাপাশি একাধিক বৈঠক হয়েছিল আচার্য সদনে সুবীরেশের অফিস চেম্বারেও। সেখানেও ওএমআর কারচুপি নিয়ে বৈঠক হয় বলে সিবিআই সূত্রে খবর। ২০১৭ সালে এই সুবীরেশের নির্দেশেই এসএসসির গ্রুপ সি পরীক্ষার ওএমআর শিট আচার্য সদনে না রেখে পাশের নতুন ভবনে রাখা হয় বলেও তদন্তে উঠে এসেছে বলে খবর। কোনও নিরাপত্তার ব্যবস্থা না করে শুধু নাইসার প্রযুক্তি বিভাগের কর্মীদের দায়িত্বে রাখা হয়। সেই জায়গা থেকেই ওএমআর স্ক্যান করেন নাইসার কর্মীরা বলে সূত্রের দাবি। নিয়োগকাণ্ডে ‘টিম সুবীরেশ’ খুবই পরিকল্পনা করে এগোত বলেও সিবিআই তথ্যপ্রমাণ পেয়েছে।
আরও পড়ুন : মেয়ের জন্য গর্বিত বাবা ফিরহাদ! কী এমন করলেন মেয়ে আফসা? জেনে অবাক হবেন আপনিও
অফিস বসত প্রাক্তন শিক্ষামন্ত্রীর বাড়িতেও : পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের নাকতলার বাড়ি থেকেই চলত নিয়োগ দুর্নীতি ৷ প্রাক্তন মন্ত্রীর বাড়িতেই তৈরি হয়েছিল অস্থায়ী অফিস। আর সেই বাড়ির নীচের অস্থায়ী অফিস থেকেই চলত নিয়োগ দুর্নীতির প্ল্যানিং। পার্থ চট্টোপাধ্যায়কে আদালতে পেশ করার পর বিচারকের সামনে এমনই দাবি করেন সিবিআইয়ের আইনজীবীরা। একই সঙ্গে, বৃহস্পতিবার কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার তরফে দাবি করা হয়েছে, সেই অস্থায়ী দফতরেই আসতেন নিয়োগ দুর্নীতির এজেন্টরা ৷