বাংলা হান্ট ডেস্কঃ মধ্যপ্রদেশের (Madhya Pradesh) রাজধানী ভোপালে ক্রাইম ব্রাঞ্চ একটি বড়সড় সেক্স র্যাকেটের (Sex Racket) পর্দাফাঁস করেছে। এই সেক্স র্যাকেট (Sex Racket) অবৈধ ভাবে চালানো একটি ক্লিনিকের ভিতরে চলছিল। ধৃত অভিযুক্তদের মধ্যে একজন তৃণমূল (Trinamool) নেতাও আছে বলে জানা যাচ্ছে। উল্লেখ্য, পুলিশের বরিষ্ঠ আধিকারিকরা একটি গোপন চিঠির মাধ্যমে ক্লিনিকের মধ্যে সেক্স র্যাকেট চলার খবর পায়। এরপর পুলিশ মঙ্গলবার সেখানে তল্লাশি চালিয়ে ৪ জন মহিলা সমেত মোট ১০ জনকে গ্রেফতার করেছে।
ধৃত ব্যাক্তিদের মধ্যে এক অভিযুক্ত নিজেকে মমতা ব্যানার্জীর দল তৃণমূল কংগ্রেসের রাজ্য সভাপতি বলে দাবি করেছেন। ভোপাল ক্রাইম ব্রাঞ্চ মঙ্গলবার সকালে বরখেড়ি এলাকার একটি ক্লিনিকে তল্লাশি চালিয়ে এই সেক্স র্যাকেটের পর্দাফাঁস করেছে। শোনা যাচ্ছে যে, বাইরে ক্লিনিকের বোর্ড লাগিয়ে তাঁর ভিতরে দেহ ব্যবসার চক্র চলত। আর গোপন চিঠি পাওয়ার পরেই পুলিশ নড়েচড়ে বসে।
ক্রাইম ব্রাঞ্চের এসপি সংবাদ মাধ্যমের সাথে কথা বলার সময় বলেন, অভিযোগ পাওয়ার পর থেকেই ক্রাইম ব্রাঞ্চের টিম ওই ক্লিনিকে নজরদারি চালাচ্ছিল। আর মঙ্গলবার সকালে ওই ক্লিনিকে তল্লাশি চালানো হয়। উনি জানান, চারজন মহিলা সমেত মোট ১০ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। উনি জানান, মধুচক্রের আসর বসানো মহিলা নিজেকে ডাক্তারের পরিচয় দিয়ে ক্লিনিকের বাইরে বোর্ড লাগিয়েছিল। মানুষকে ধোঁকা দেওয়ার জন্যই মহিলা ক্লিনিকের বাইরে ডাক্তারের বোর্ড লাগিয়েছিলেন বলে জানান তিনি।
মধুচক্রের আসর ধরার জন্য পুলিশ যখন ক্লিনিকে তল্লাশি চালাতে গেছিল, তখন সেখানে বেশ কয়েকজন গ্রাহক ছিল। ক্রাইম ব্রাঞ্চের ডিএসপি অদিতি ভাবসার বলেন, ধৃত ব্যাক্তিদের মধ্যে একজন নিজেকে তৃণমূল কংগ্রেসের রাজ্য সভাপতি বলে দাবি করেছেন। তাঁর কাছ থেকে তাঁর ভিসিটিং কার্ডও উদ্ধার করা হয়েছে। ওই কার্ডে সচিন সিং চৌহান (Sachin Singh Chouhan) নাম লেখা আছে তাঁর। এমনকি ওই কার্ডে লেখা আছে তিনি রাজ্যের তৃণমূল সভাপতি।
শুধু তাই নয়, অভিযুক্ত সচিনের বাড়িতেও তৃণমূল রাজ্য সভাপতির বোর্ড লাগানো আছে বলে দাবি পুলিশের। ক্রাইম ব্রাঞ্চ আপাতত সবাইয়ের কাছে জিজ্ঞাসাবাদ চালাচ্ছে আর এটা জানার চেষ্টা করছে যে, এদের আর কোন চক্র আছে নাকি?