বাংলাহান্ট ডেস্ক : সময়টা খুব একটা ভালো যাচ্ছে না রাজ্য বিজেপির অন্দরে। কিছুতেই নিভছে না বিদ্রোহের আগুন। এহেন অবস্থাতেই শান্তনু ঠাকুরের সঙ্গে পিকনিক করার অপরাধে দলের দুই তাবড় নেতাকে শোকজ করল বিজেপি। যদিও এই প্রেক্ষিতে কড়া জবাব দিয়েছেন কেন্দ্রীয় জাহাজ প্রতিমন্ত্রী তথা বনগাঁর বিজেপি সাংসদ শান্তনু ঠাকুর।
রবিবার নেতাজির জন্মদিনে উত্তর ২৪ পরগনার গোবরডাঙার গৈপুরে পুরমন্ডলের সভাপতি আশিস বন্দ্যোপাধ্যায়ের বাগান বাড়িতে একটি চড়ুইভাতি ছিল। শান্তনু ঠাকুর ছাড়াও সেখানে উপস্থিত ছিলেন জয়প্রকাশ মজুমদার এবং রীতেশ তিওয়ারি। আর সেই জন্যেই শোকজ করা হল তাঁদের।
নেতাদের শোকজের পর রীতিমতো কড়া সুরেই শান্তনু ঠাকুর জানান, ‘আমার সঙ্গে আরও অনেক নেতাই দেখা করবেন। কতজনকে শোকজ করবে ওরা? সবাইকে কি বাদ দিয়ে দেবে নাকি? সব বিক্ষুব্ধদের কি বাদ দেওয়া সম্ভব? ওদের যা ইচ্ছে ওরা করুক।’
কিছুদিন আগেই দিল্লি থেকেই হুঁশিয়ারি দিয়েছিলেন দিলীপ ঘোষ। তিনি বলেন, ‘বিপ্লব করে খবরে থাকার চেষ্টা করে লাভ নেই’। আর এর ঠিক পর পরই শোকজ করা হল বঙ্গ বিজেপির শীর্ষ স্থানীয় দুই নেতৃত্বকে। অবশ্য শোকজ হওয়া নেতারা কোনোকালেই দিলীপ ঘোষ ঘনিষ্ঠ নন বলেই খবর।
সম্প্রতি তৈরি হওয়া কমিটিতে জায়গা না পেয়ে বিদ্রোহ ঘোষণা করেছিলেন বনগাঁর সাংসদ শান্তনু ঠাকুর। এরপর সেই বিদ্রোহে যোগ দেন জয়প্রকাশ এবং রীতেশ। অমিতাভ চক্রবর্তীর বিরুদ্ধাচারণ করেই আপাতত কাঠগড়ায় তাঁরা।
এহেন পরিস্থিতিতে বিজেপির এই শোকজের সিদ্ধান্ত যে খুব একটা ফলদায়ী হবে না তা একপ্রকার স্পষ্ট শান্তনু ঠাকুরের বক্তব্যে। তবে কি বিদ্রোহের আগুনে নিজেরাই ঘৃতাহুতি করল দল? সেই উত্তর সময়ই দেবে।