বাংলাহান্ট ডেস্ক : আসানসোলে তাঁকে টিকিট দিয়েছে তৃণমূল কংগ্রেস। এবার এই প্রসঙ্গে সরাসরি মুখ খুলতে দেখা গেল শত্রুঘ্ন সিনহাকে। একই সঙ্গে মমতার প্রশংসায় পঞ্চমুখ হলেন এই প্রাক্তন বিজেপি নেতা।সোমবার একটি সাক্ষাৎকারে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের তুমুল প্রশংসা করতে দেখা গেল বলিউড অভিনেতা তথা প্রাক্তন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী শত্রুঘ্ন সিনহাকে। তিনি বলেন, ‘মমতার হাতেই দেশের ভবিষ্যৎ। আমি তাঁর হাত শক্ত করার চেষ্টা করছি মাত্র।
দেশের কোনে কোনে খেলা হবে স্লোগানকে পৌঁছে দিতে চাই।’ তৃণমূল সুপ্রিমোর প্রশংসা করে তিনি আরও বলেন, ‘২০২১ সালে বিজেপির বিরুদ্ধে বড় জয় পেয়েছে তৃণমূল। সারা দেশে সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি এবং দারিদ্রের বিরুদ্ধে মমতার লড়াইয়ের অংশ হতে পেরে গর্বিত।’শত্রুঘ্ন সিনহাকে ‘বহিরাগত’ তকমা দিয়ে তৃণমূলকে বিঁধেছে বিরোধীরা। সেই সাফাইও এদিন দেন তিনি। বিহারের প্রাক্তন সাংসদ বলেন, ‘আমার জন্ম বিহারে। কিন্তু বাংলার প্রতি আমি দূর্বল৷
বাংলায় একাধিক সিনেমা করেছি আমি। অন্তর্জলি যাত্রার মতন জাতীয় পুরষ্কার জয়ী সিনেমারও অংশ ছিলাম। আর আসানসোলে শুধু বাঙালি নয়, বিহার ঝাড়খন্ড সহ অন্যান্য রাজ্য থেকে আসা মানুষেরও বাস।’ একই সঙ্গে বহিরাগত প্রসঙ্গ টেনে মোদীকে খোঁচা দিয়ে তিনি বলেন, ‘আমি যদি আসানসোলে বহিরাগত হই তাহলে বারাণসী থেকে কেন নির্বাচনে লড়েছিলেন মোদী?’
প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, অটলবিহারী বাজপেয়ী প্রধানমন্ত্রী থাকা কালীন তাঁর মন্ত্রী সভার সদস্য ছিলেন শত্রুঘ্ন। বিজেপির টিকিটে দুবার লোকসভার সাংসদ এবং দুবার বিধানসভারও সাংসদ হয়েছিলেন তিনি। ২০১৯ সালে আভ্যন্তরীণ মতানৈক্যের কারণে বিজেপি ছেড়ে লড়েন কংগ্রেসের টিকিটে। কিন্তু শিকে ছেঁড়েনি সেবার। এরপর এবার আসানসোল লোকসভা কেন্দ্রের উপনির্বাচনে তৃণমূলের হয়ে মাঠে নামলেন বলিউডের ‘বিহারীবাবু’। পর্দার মতন রাজনীতিকেও কি তিনি ‘খামোশ’ করতে পারবেন বিরোধীদের? এখন সেটাই দেখার।