বাংলা হান্ট ডেস্কঃ গত ১০ এপ্রিল চতুর্থ দফার ভোটের দিন উত্তাল হয়েছিল কোচবিহারের শীতলকুচি বিধানসভা কেন্দ্র। সাত সকালে ভোটের লাইনে দাঁড়িয়ে গুলিতে প্রাণ হারিয়েছিল প্রথমবার ভোট দিতে যাওয়া ১৮ বছর বয়সী আনন্দ বর্মণ। মৃতের পরিবারের তরফ থেকে এই ঘটনার জন্য তৃণমূলকে দায়ী করা হয়েছিল। এরপর সকাল দশটা নাগাদ কেন্দ্রীয় বাহিনীকে ঘেরাও করতে আসা গ্রামবাসীদের উপর গুলি চালানোর ঘটনায় প্রাণ হারান ১০ জন।
ওই দিন শীতলকুচির ১২৬ নম্বর বুথে আর ভোট হয়নি। নির্বাচন কমিশনের তরফ থেকে ২৯ এপ্রিল শেষ দফার ভোটের দিনে ওই কেন্দ্রে পুননির্বাচনের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। সেই মতে আজ সকাল থেকে শুরু হয় শীতলকুচির ১২৬ নম্বর বুথে পুনরায় ভোট গ্রহণ। ভোট শুরু হওয়ার পর শীতলকুচির তৃণমূল প্রার্থী পার্থপ্রতিম রায় কেন্দ্রীয় বাহিনীর সঙ্গে বচসায় জড়িয়ে পড়েন।
তৃণমূলের তরফ থেকে অভিযোগ করা হয় যে, বুথের ১০০ মিটারের মধ্যে বিজেপির প্রার্থী দলীয় পতাকা লাগিয়ে গাড়ি নিয়ে প্রবেশ করেন। এরপর তৃণমূল প্রার্থী পার্থপ্রতিম রায় মেজাজ হারান। তিনি পুলিশের দিকে আঙুল উচিয়ে এগিয়ে যান। তিনি হুমকির সুরে বলেন, ‘যেই আইসি এত বাহুদুরি দেখাচ্ছিল, সে এখন কোথায়? এখানে দায়িত্বে কে আছে? বিজেপির প্রার্থী ফ্ল্যাগ নিয়ে ঢুকল কীভাবে?” পার্থপ্রতিম রায় চিৎকার করে বলেন, ‘আপনারা কি এখানে কমিশনের দালালি করছেন?” ঘটনার পর চাঞ্চল্য ছড়ায় এলাকায়।