বাংলা হান্ট ডেস্ক : একেবারেই নিশ্চিত, মহারাষ্ট্রে সিবসেনার তরফে পাঁচ বছরের জন্য মুখ্যমন্ত্রী হচ্ছেন উদ্ভব ঠাকরে। এমনকি শিবসেনা এনসিপি ও কংগ্রেস জোটের ফলাফলও তেমনটাই বলছিল। শুক্রবার রাত অবধি একেবারে সেই খবরই পাকা ছিল। কিন্তু মাত্র বারো ঘন্টার ব্যবধানে শনিবার সকালে মহারাষ্ট্রের রাজনৈতিক ইতিহাসের এক নতুন অধ্যায় শুরু হয়। হঠাত্ই অজিত পাওয়ার ও আট বিধায়ককে সঙ্গে নিয়ে রাজ ভবনে গিয়ে মুখ্যমন্ত্রী পদে সপথ গ্রহণ করেন মুখ্যমন্ত্রী দেবেন্দ্র ফড়নবীশ।
তারপর থেকেই গোটা মহারাষ্ট্রের রাজনৈতিক প্রেক্ষাপট একেবারে বদলে যায়। একদিকে ভাইপো অজিত পাওয়ারকে হাতছাড়া করে কার্যত মুষড়ে পড়ছেন কাকা শরদ, অন্যদিকে মুখ্যমন্ত্রী পদ হাতছাড়া হতেই একেবারে ছেড়ে দে মা কেঁদে বাঁচি অবস্থা উদ্ভবের। তারওপরে আবার বিজেপির সমর্থণে চিঠি দিয়েছে অজিত। তাইতো পাঁচ বছরের মুখ্যমন্ত্রী পদের লোভ ছাড়তে একপ্রকার বাধ্য হল শিবসেনার দাপুটে নেতা। জোট বজায় রাখতে ২.৫ বছরের মুখ্যমন্ত্রী ভাগ অজিতকে দিতে রাজী হল শিবসেনা।
যদিও মঙ্গলবার দেসের সর্বোচ্চ আদালতের রায়ে ২৭ তারিখেই আস্থা ভোটের নির্দেস দেওয়া হয়েছে। তিন রাজনৈতিক দলের আনা অভিযোগের বিরুদ্ধে এদিন আস্থা ভোট মামলার রায় দান করে সুপ্রিম কোর্ট। যদিও আগেই তিন রাজনৈতিক দলের চাপে পড়ে রাজ্যপাল ভগত সিং কেশিয়ারি ৩০ নভেম্বরের মধ্যে আস্থা ভোট গ্রহণের কথা জানিয়েছি দেবেন্দ্রকে। কিন্তু তার আগেই ভোটের দিনক্ষণ ঘোষণা করল শীর্ষ আদালত।
উল্লেখ্য, শুক্রবার এনসিপি শিবসেনা ও কংগ্রেস একযোগে জোট হয়ে সরকার গঠনের কথা জানায়। এমনকি উদ্ভব ঠাকরে কে মুখ্যমন্ত্রী করার সিদ্ধান্তও জানায় তাঁরা। কিন্তু তারপরেই সরকার গঠনের জন্য মাত্র কয়েক ঘন্টা হাতে নিয়েই একেবারে ভোল বদল করে বিজেপি।