বাংলাহান্ট ডেস্ক: মিষ্টি বানানো থেকে শুরু করে রাঁধা বাড়া, ব্যবসা সামলানো সবেতেই পটু মিঠাই (mithai)। কিন্তু ইংরেজি বলতে গেলেই পদে পদে হোঁচট খায় সে। মিঠাইয়ের দৌড় ওই ‘থাঙ্কু’, ‘গোপাল হেলেপ’ আর ‘সাইড পিলিজ’ পর্যন্তই। মাঝে মাঝে অবশ্য সিদ্ধার্থকে নকল করে ‘ননসেন্স’, ‘ডিসগাস্টিং’ বলার চেষ্টা করে সে। কিন্তু তাতেও তার ইংরেজি বলার ধরণ থেকে হেসে লুটোপুটি খায় হল্লা পার্টি।
সাহেবি মেজাজের সিড স্ত্রীয়ের এমন ভুলভাল ইংরেজি নিয়েও বেজায় বিরক্ত। অনেক চেষ্টা করে মিঠাইয়ের ‘থাঙ্কু’টাকে ঠিক করা গিয়েছে বটে, কিন্তু বাকি ইংরেজিটা এখনো লজঝড়েই আছে। ‘লটপট’কে তাই ল্যাপটপে বদলানোর জন্য নিজেই হাল ধরছে সিদ্ধার্থ। আসন্ন সরস্বতী পুজোতেই মিঠাইয়ের ইংরেজিতে হাতেখড়ি দেওয়াবে সে।
সদ্য প্রকাশ্যে আসা প্রোমোতে দেখা যাচ্ছে, সরস্বতী পুজোর দিন মোদক বাড়ির সকলে প্রতিমার সামনে আরাধনায় ব্যস্ত। তখনি সেখানে হাজির সিদ্ধার্থ। তার হাতে একটি স্লেট ও চক। সিড বলে ওঠে, “যে আত্মবিশ্বাসের সঙ্গে ভুলভাল ইংরেজি বলে, তার আজ ইংরেজিতে হাতেখড়ি হবে।”
তারপর মা সরস্বতীর সামনেই মিঠাইয়ের হাত ধরে স্লেটের উপরে সে লিখে দেয়, ‘আই লভ মাই ফ্যামিলি’। হয়ে গেল মিঠাইয়ের ইংরেজিতে হাতেখড়ি। উচ্ছেবাবুর দিকে তখন মুগ্ধ দৃষ্টিতে তাকিয়ে সে। সিড মিঠাইয়ের কাছাকাছি আসা দেখে আপ্লুত হল্লা পার্টিও।
সম্প্রতি মিঠাইয়ের বিরুদ্ধে বাংলাদেশের জাতীয় সঙ্গীত ‘আমার সোনার বাংলা’কে অবমাননার অভিযোগ করেছেন প্রতিবেশী দেশের দর্শকদের একাংশ। রবিবার দেখানো হয়েছে, মিষ্টি হাবের উদ্বোধনের জন্য শিল্প সম্মান পুরস্কার পেয়েছেন দাদাই অর্থাৎ সিদ্ধেশ্বর মোদক। তাই ব্যবসায়ী সমিতির তরফে তাঁকে বিশেষ সম্বর্ধনা জানানো হয়েছে।
দাদাইকে নিয়ে গোটা মোদক পরিবার উপস্থিত হয়েছে সম্বর্ধনা অনুষ্ঠানে। সেখানেই উদ্বোধনী সঙ্গীত হিসাবে পরিবেশন করা হয় ‘আমার সোনার বাংলা’ রবীন্দ্রসঙ্গীতটি। এরপরেই বিষয়টা নিয়ে সোচ্চার হয়েছে বাংলাদেশি দর্শকদের একাংশ। কারণ সিরিয়ালে দেখানো হয়েছে, গানটি চলার সময় সকলেই বসে বসে শুনছেন।
শুধু মিঠাই একপাশে দাঁড়িয়ে। উল্লেখ্য, এই রবীন্দ্রসঙ্গীত কিন্তু বাংলাদেশের জাতীয় সঙ্গীতও বটে। আর মিঠাই এর দর্শকের একটা বড় অংশ বাংলাদেশি। তাঁদের প্রশ্ন, প্রতিবেশী দেশের জাতীয় সঙ্গীত জেনেও কেন উঠে দাঁড়ানোর মতো নূন্যতম সম্মানটুকু দেখালেন না মিঠাই সিরিয়ালের কলাকুশলীরা? যদিও অনেকেই সিরিয়ালের পাশেও দাঁড়িয়েছেন।