‘আমার দপ্তরে নিয়োগ হয়, দুর্নীতি নয়! কাকে উদ্দেশ্য করে কটাক্ষ গ্রন্থাগার মন্ত্রী সিদ্দিকুল্লার? তুঙ্গে জল্পনা

বাংলাহান্ট ডেস্ক : খোদ মন্ত্রীর করা আমন্ত্রণ সত্ত্বেও দেখা মিলল না কারও। শেষমেশ নাম না করেই দলের বিরুদ্ধে ক্ষোভ উগরে দিলেন রাজ্যের গ্রন্থাগার এবং গণশিক্ষা দপ্তরের মন্ত্রী সিদ্দিকুল্লাহ চৌধুরী। তবে কি দলের অন্দরেই ব্রাত্য সিদ্দিকুল্লাহ? আপাতত এহেন প্রশ্নেই চাঞ্চল্য রাজ্য রাজনীতিতে।

গ্রন্থাগার এবং গণশিক্ষা দপ্তরের তরফে আয়োজিত তৃতীয় বইমেলার উদ্বোধন ছিল নেতাজি ইন্ডোর স্টেডিয়ামে। আমন্ত্রিতদের তালিকাও ছিল যথারীতি তারকা খচিত। তৃণমূলের নেতা মন্ত্রীদের প্রায় সকলেই ছিলেন তালিকায়। প্রধান উদ্বোধন হিসেবে নাম ছিল খোদ রাজ্যের শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসুর। কিন্তু নির্ধারিত সময় পেরোলেও নেতাজি ইন্ডোর স্টেডিয়ামে দেখা মিলল না কারওই। শেষমেষ নিজের দপ্তরের অনুষ্ঠানের হাল একাই ধরলেন সিদ্দিকুল্লাহ চৌধুরী।

এদিন নেতাজি ইন্ডোর স্টেডিয়ামে মূল মঞ্চের একেবারে মাঝখানে ছিল ব্রাত্য বসুর বসার ব্যবস্থা। তারপর দুপাশের হুমায়ুন কবীর, সুজিত বসু, অরূপ বিশ্বাস প্রমুখ মন্ত্রীদের নেমপ্লেট। কিন্তু দেখা মিলল না কারওই। আমন্ত্রিতদের মধ্যে এসেছিলেন ত্রিদিব চট্টোপাধ্যায়, সুধাংশু শেখর দে, মানস ভুঁইয়া, নাদিমূল হক। এহেন পরিস্থিতিতে যেন ক্ষোভ আর দমিয়ে রাখতে পারলেন না সিদ্দিকুল্লাহ চৌধুরী। অনুষ্ঠান শুরু হলেই তাঁর নিজের বক্তব্যে বেরিয়ে এল রাশি রাশি ক্ষোভ।

তিনি বলেন, ‘কার্ডে যতজনের নাম আছে সবাইকে ডেকেছি। তাঁদের সঙ্গে এবং তাঁদের সচিবদের সঙ্গে কথা বলেছি। আমার দপ্তরও কথা বলেছে। আমি স্পষ্ট কথাই বলি। আসবেন না সেটা জানিয়ে দিলেই পারতেন। কার্ডে নাম ছাপাতাম না। একা ব্রাত্য জানিয়েছেন অনিবার্য কারণ বশত তিনি আসতে পারছেন না। বাকিরা? হয়ত ছোট দপ্তর বলেই এলেন না। এটাও তো বাংলারই অনুষ্ঠান ছিল। কাজটা বেমানান হল। একথা বলতে সিদ্দিকুল্লাহ চৌধুরীর ঠোঁট কাঁপে না।’ তিনি আরও বলেন, ‘রাজ্যবাসী তো সবই দেখছে। আমার দপ্তরে তো নিয়োগ হচ্ছে। কোনও দুর্নীতি নেই। ৭৩৮টি পদে নিয়োগ হবে। সবটাই করবেন জেলাশাসকরা।’

তাঁর এই ক্ষোভের প্রেক্ষিতে অবশ্য কোনও প্রতিক্রিয়াই পাওয়া যায়নি সংশ্লিষ্ট মন্ত্রীদের তরফে। তবে কি দলের মধ্যেই আরও প্রকট হচ্ছে ফাটল? নাকি নেহাতই গাফিলতি? সব মিলিয়ে যে তুঙ্গে রাজনৈতিক জল্পনা, তা বলাই বাহুল্য।


Katha Bhattacharyya

সম্পর্কিত খবর