বাংলা হান্ট ডেস্ক: শীতকালে সবাই কোথাও না কোথাও সবাই ঘুরতে যাচ্ছে। তবে ঘুরতে যাওয়ার কথা বললে সবার আগে মাথায় আসে পাহাড়ের কথা। কারণ, এই সময় পাহাড়ে গেলে আপনি দেখতে পাবেন বরফ। আর বরফে মোড়া পাহাড়ের সৌন্দর্য আলাদাই হয়। আর আপনি যদি এবারের শীতে ঘুরতে যাওয়ার পরিকল্পনা করেন, তাহলে যেতে পারেন সিকিমের (Sikkim)স্বল্প পরিচিত গ্রাম নিমাচেন। এখানে গেলে একদিকে যেমন মন ভরে প্রাকৃতিক পরিবেশ উপভোগ করতে পারবেন। অপর দিকে পাবেন বরফ দেখার সুযোগ।
পরিবারকে নিয়ে এবারের শীতে জ়ুলুক যাচ্ছেন? রাত কাটান নিমাচেনে (Sikkim)
শীতকালে মানুষ কোথাও না কোথাও ঘুরতে যাচ্ছে। আর কাছে পিঠে ঘুরতে যাওয়ার ও তুষারপাত এবং বরফ দেখতে হলে আপনাকে যেতে হবে সিকিমে (Sikkim)। কারণ শীতকালে এখানে অর্থাৎ পূর্ব সিকিমের বিভিন্ন প্রান্তে বরফের দেখা মেলে।

পাশাপাশি ডিসেম্বর জানুয়ারিতে অন্যরূপে দেখা যায় জুলুক-নাথুং ভ্যালিকে। তবে এই সময় সেখানে মাইনাসে তাপমাত্রা থাকায় সেখানে রাত কাটানো বেশ কষ্টদায়ক। কিন্তু এই মরশুমে সিল্ক রুটের যে সৌন্দর্য দেখা যায় তা অন্য কোন সময় পাবেন না। তাই এবারের শীতে আপনি যদি পূর্ব সিকিমে ঘুরতে যান তাহলে জুলুকে রাত না কাটিয়ে কাটাতে পারেন নিমাচনে। এটি পূর্ব সিকিমের একটি অফ বিট এলাকা।
এখানে আসলে পরে কয়েক কিলোমিটার দূরে রয়েছে থাম্বি ভিউ পয়েন্ট। এই ভিউ পয়েন্ট থেকে আপনি সিল্করুটের প্রাকৃতিক সৌন্দর্য উপভোগ করতে পারবেন। পাশাপাশি গোটা অঞ্চল এই সময় বরফের ঢেকে থাকে। তবে ভোর বেলায় থাম্বি গেলে সূর্যোদয় ও দেখতে পাবেন। এছাড়া জুলুক ও নাথাং ভ্যালির মধ্যিখানে রয়েছে লুংথুং ভিউ পয়েন্ট।
কী ভাবে যাবেন ও কোথায় থাকবেন?
কলকাতা থেকে ট্রেনে করে নিউ জলপাইগুড়িতে পৌঁছিয়ে যান। এরপর সেখান থেকে প্রথমে যান রংপো। এবং সেখান থেকে চলে যান রংলি হয়ে নিমাচেন। এছাড়া এনজেপি থেকে নিমাচেনের দূরত্ব প্রায় ১৩৫ কিলোমিটার। যেতে সময় লাগে চার ঘন্টা। আর এখানে থাকার জন্য একাধিক হোমস্টে রয়েছে। চাইলে আপনি আগের থেকে হোম স্টে বুক করে আসতে পারেন (Sikkim)।












