‘মেনে নাও, আর মানিয়ে নাও’! এইভাবে মায়েরাই সর্বনাশ করে মেয়েদের, মিঠিঝোড়ায় এবার বাস্তব কাহিনী

বাংলা হান্ট ডেস্ক : জি বাংলার ‘মিঠিঝোড়া’ (Mithijhora) সিরিয়ালে এবার বাস্তবের কাহিনী। সিরিয়াল মানেই বাস্তবের আয়না। বাস্তব জীবনে ঘটে চলা অনেক ঘটনাই ফুটে ওঠে বাংলা সিরিয়ালে। এই যেমন আমাদের আজকের এই  পুরুষ শাসিত সমাজে আজও নানাভাবে বঞ্চিত হয়ে চলেছে মেয়েরা। সেই আদি জগ থেকে মেয়েরা আজও অনেকের চোখে শুধুই ‘ভোগ্য পণ্য’ হয়েই থেকে গিয়েছেন। তাই চোখ থাকতেও আজও এই সমাজের একাংশ।

মিঠিঝোড়া (Mithijhora) সিরিয়ালে বাস্তবের কাহিনী

ইদানিং টেলিভিশনের পর্দায় সম্প্রচারিত অধিকাংশ ধারাবাহিক নারী কেন্দ্রিক। মেয়েদের জীবনের নানান বাস্তব চিত্রই ফুটে উঠে ধারাবাহিকের পর্দায়। এই মুহূর্তে এমনটাই  দেখা যাচ্ছে জি বাংলার জনপ্রিয় মেগা সিরিয়াল ‘মিঠিঝোড়া’তেও (Mithijhora)। বলা হয় মায়েরাই হল মেয়েদের জীবনের সবচেয়ে বড় ভরসার জায়গা। কিন্তু আমাদের সমাজে আজও এমন-ও মা রয়েছেন যারা সবকিছুতেই শুধু নিজের মেয়ের দোষটাই  দেখতে পান।

   

তাই ছোটবেলা থেকে নিজের বাড়িতেই মেয়েদের মেনে নেওয়া আর মানিয়ে নেওয়ার পাঠ পড়ানো হয়। যা চলতে থাকে বিয়ের পরেও। যতই হোক শ্বশুরবাড়ি বলে কথা!  তাই শ্বশুর বাড়ির লোকজন হোক কিংবা স্বামী যে যতই অন্যায় করুক না কেন সবটাই মেয়েদেরই মুখ বুজে মেনে নিতে হবে। এমনটাই বলেন মায়েরা। আর এই ভাবেই মনের মধ্যে নিঃশব্দ রক্তক্ষরণ হলেও তাদের করার কিছু থাকে না।

আর এইভাবেই সেই সমস্ত  মেয়েরা  একটু একটু করে পরিণত হয় জীবন্ত লাশে। জীবনের শেষ দিন পর্যন্ত না মরে বেঁচে থাকেন তারা। মিঠিঝোড়া’ (Mithijhora) সিরিয়ালের গত পর্বে দেখা গিয়েছে ডাক্তারের কাছ থেকে অনুমতি নিয়ে অপারেশনের আগে রাই একটা রাত নিজের বাড়িতেই থাকার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। কিন্তু রাতে সকলের সাথে খেতে বসেও শান্তি নেই তার। সেখানে খাওয়ার সময়েও রাইয়ের মা নন্দিতা তুলে আনে তার স্বামী ও অনির্বাণের প্রসঙ্গ।

আরও পড়ুন : ‘হিট অফ দ্য মোমেন্টে বলে ফেলেছে,অন্যায় হয়েছে’! রাত গড়াতেই উল্টোসুর, কাঞ্চনের হয়ে সাফাই শ্রীময়ীর

এত কিছুর পরেও তিনি রাইকেই বলেন অনির্বাণের কোন সমস্যা হলে সে যেন মানিয়ে নেয়। কারণ ওটাই এখন তাঁর বাড়ি। ওটাই তাঁর  সংসার। তাই অনির্বাণের কোন সমস্যা হলে তাকেই  মানিয়ে নিতে হবে। কিন্তু স্রোত  অনেক চেষ্টা করেও মাকে বোঝাতে পারেনা তার চিন্তাধারা কতটা ভুল। উল্টে সবকিছুর  জন্য তিনি আবার সেই রাইয়ের ঘাড়েই দোষ চাপাতে শুরু করেন।

কিন্তু কেন? শুধু মেয়ে হয়ে জন্মিয়েছে বলেই সমস্ত দোষের ভাগীদার মেয়েদেরই কেন হতে হবে? কেন বিনা দোষে সব অপমান সহ্য করে অনির্বাণের মত একজন মানুষের সাথে থাকার জন্য রাইকেই সবকিছু মেনে আর মানিয়ে নিতে হবে? তাই সত্যিই এত কিছুর পরেও একজন মা যখন নিজেই তার মেয়েকে ভুল বোঝেন  তখন আর কিইবা বলার থাকতে পারে। আসলে সিরিয়ালে (Mithijhora) রাইয়ের সাথে যা ঘটেছে তা প্রায় প্রত্যেক দিনই আমাদের সমাজের কোনো না কোনো মেয়ের সাথে ঘটে চলেছে।  বিনা দোষে বারবার মেয়েদেরই শুনতে হয় সব দোষ তারই।

Anita Dutta
Anita Dutta

অনিতা দত্ত, বাংলা হান্টের কনটেন্ট রাইটার। কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে সাংবাদিকতায় স্নাতকোত্তর। বিগত ৪ বছরের বেশি সময় ধরে সাংবাদিকতা পেশার সাথে যুক্ত।

সম্পর্কিত খবর