বিদায় জানালেন ‘উড়ন্ত শিখ” মিলখা সিং, রইল ওনার জীবনের ৯ টি তথ্য যা প্রায় সকলেরই অজানা

বাংলা হান্ট ডেস্কঃ করোনার কারণে দেশ হারিয়েছে একের পর এক কিংবদন্তিকে। সেই তালিকায় এবার অন্তর্ভুক্ত হলো ‘উড়ন্ত শিখ’ এর নাম। গত কয়েকদিন ধরেই হাসপাতালে ভর্তি ছিলেন ভারতের উড়ন্ত শিখ মিলখা সিং। এর আগেও একাধিকবার তার মৃত্যুর ভুল খবর সামনে এসেছে। তবে শুক্রবার গভীর রাতে যে খবর আসে তা ভুল নয়, করোনায় দেশ হারাল তার অন্যতম কৃতি দৌড়বিদকে। কমনওয়েলথের স্বর্ণপদক জয়ী মিলখা সিং, যার হাত থেকে একটুর জন্য হাতছাড়া হয়েছিল অলিম্পিকের পদক। আসুন আজ তাকে স্মরণ করা যাক একটু অন্যভাবে। জেনে নেওয়া যাক তার সম্পর্কিত বেশ কিছু চমকপ্রদ তথ্যঃ

★ছোটবেলায় দারিদ্র্য থেকে বাঁচতে বেশ কিছু অসৎ কাজ করতে হয়েছে মিলখাকে।বেশ কিছুদিন ওয়াগেন ব্রেকার হিসেবেও কাটাতে হয়েছে তাকে।
★রেলে বিনা টিকিটে যাতায়াতের জন্য পুলিশের হাতেও ধরা পড়েছিলেন তিনি। থাকতে হয়েছিল তিহার জেলে। তবে সেবার নিজের গয়না বিক্রি করে তাকে ছাড়িয়ে নিয়ে আসেন তার দিদি
★মিলখা সিং ভারতীয় সেনায় যোগদান করার পর তার প্রথম বেতন কত ছিল জানেন? মাত্র ৩৯ টাকা ৮ টানা।

★রোম অলিম্পিকসে ৪০০ মিটার দৌড়ে একটুর জন্য চতুর্থ স্থান পান তিনি। তবে প্রায় চল্লিশ বছর ধরে তিনি যেটুকু সময় নিয়েছিলেন তা ছিল একটি জাতীয় রেকর্ড। ১৯৬০ সালের এই রোম অলিম্পিকসে ৪০০ নিয়েছিলেন দৌড়াতে এই উড়ন্ত শিখ সময় নিয়েছিলেন ৪৫.৭৩ সেকেন্ড। একটুর জন্য পদক হাতছাড়া হওয়ায় রীতিমতো ভেঙে পড়েছিলেন মিলখা। তিনি বারবার বলতেন “মৃত্যুর আগে কোন ভারতীয় দৌড়বিদের গলায় অলিম্পিকের পদক দেখে যেতে চাই।”

★পাকিস্তান জেনারেল আইয়ুব খান তাকে ‘উড়ন্ত শিখ’ নামে সম্মানিত করেছিলেন।
★মিলখার নামে তার ইচ্ছাতেই জাতীয় ছুটি ঘোষণা করেছিলেন প্রধানমন্ত্রী জওহরলাল নেহেরু।
★ মিলখা সিং তার সমস্ত পদক ক্রীড়া মন্ত্রকের কাছে দান করেন। যা এখন রয়েছে পাটিয়ালা স্পোর্টস মিউজিয়ামে।
★২০০১ সালে সরকারি তরফে তাকে অর্জুন পুরস্কারে সম্মানিত করতে চাওয়া হলেও মিলখা তা ফিরিয়ে দেন। তিনি বলেন ৪০ বছর দেরি হয়ে গিয়েছে।

★১৯৯৯ সালে কারগিল যুদ্ধে শহীদ বিক্রম সিংহের সাত বছরের সন্তানকে দত্তক নেন মিলখা।
★ ১৯৫৮ সালে কমনওয়েলথ তো বটেই এশিয়ান গেমসেও সোনা জয় করেছিলেন তিনি। এরপর ১৯৬২ সালের এশিয়ান গেমসে ফের স্বর্ণপদক জয় করেন মিলখা।

এই উড়ন্ত শিখের প্রয়াণে স্বাভাবিকভাবেই শোকগ্রস্ত ক্রীড়াজগৎ। একাধিকবার ভারতকে সম্মানিত করেছেন তিনি। বুঝিয়ে দিয়ে গেছেন, লড়াইটা আসলে নির্ভর করে ইচ্ছা শক্তির উপর।

Avatar
Abhirup Das

সম্পর্কিত খবর