বাংলাহান্ট ডেস্ক : সময়টা ছিল ১৭ নভেম্বরের সকাল। বেরেলি জংশনে ঘটে গিয়েছিল এক মর্মান্তিক দুর্ঘটনা। ৩০ বছর বয়সী সেনা রাইফেলম্যান সোনু কুমার সিং বেরেলি জংশনে টিটিই’র ধাক্কা খেয়ে ট্রেনের নীচে পড়ে গিয়েছিলেন। টানা সাতদিন লড়াইয়ের পর অবশেষে হাসপাতালে মারা গেলেন। ট্রেনের নিচে পড়ে যাওয়ার পর সোনুর এক পা কেটে ফেলা হয়। সেইসঙ্গে অন্য পা কেটে ফেলার পরেই প্রতি ঘণ্টায় জওয়ানের স্বাস্থ্যের অবনতি ঘটতে থাকে। বুধবার সন্ধ্যায় তিনি শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন। অভিযুক্ত টিটিই এখনও পলাতক।
জানা গিয়েছে, বালিয়ার হলদি থানা এলাকার ভরসোটা গ্রামের বাসিন্দা সোনু কুমার সিং রাজস্থান জয়পুরের ব্যাটালিয়নে একজন রাইফেলম্যান পদে কর্মরত ছিলেন। ত্রিশ দিন আগে ছেলের নামকরণের অনুষ্ঠানে গ্রামে আসেন সোনু। গত ১৭ই নভেম্বর, সোনু লখনউ থেকে দিল্লি যাওয়ার জন্য ডিব্ৰুগড়-নিউ দিল্লি এক্সপ্রেসে চড়েছিলেন। অভিযোগ, ট্রেনের মধ্যে টিটিইর সাথে গন্ডগোল শুরু হয় সোনুর। ট্রেনটি যখন বেরেলি জংশনে পৌঁছায়, টিটিই সোনুকে ধাক্কা দেয়। পড়ার পর সোনু ট্রেনের নিচে চলে যায় যার জেরে তার একটি পা কাটা যায়। চিকিৎসা চলাকালীন পাঁচ দিন পর অন্য পাও কেটে ফেলতে হয়। বেরেলি জংশন জিআরপি ইন্সপেক্টর বলেছেন যে অভিযুক্ত টিটিইকে খোঁজা হচ্ছে।
সোনুর ভাই জিতেন্দ্র সংবাদমাধ্যমকে বলেন যে, তার ভাইয়ের মৃত্যু সেনাবাহিনীর জন্য একটি বড় ধাক্কা। সেনাবাহিনী তাদের একজন জওয়ানকে হারিয়েছে। পাশাপাশি তিনি আরোও জানান, “সেনাবাহিনীর প্রতি আমার পূর্ণ আস্থা আছে। সোনু ন্যায়বিচার পাবে। বিচার বিভাগের প্রতি আমার পূর্ণ আস্থা আছে, ন্যায়বিচার অবশ্যই হবে। সেনা কর্মকর্তারা সার্বিক সহযোগিতা করছেন। জিআরপির আধিকারিকরাও প্রতিদিন হাসপাতালে এসে অবস্থা জানতেন।”