বাংলাহান্ট ডেস্ক: লকডাউনে পরিযায়ী শ্রমিক ও দরিদ্র মানুষদের জন্য ‘সুপারম্যান’এর অবতারে হাজির হয়েছিলেন সোনু সূদ (sonu sood)। বলিউডের পরিচিত এই অভিনেতার যেন সম্পূর্ণ নতুন এক রুপের সঙ্গে পরিচয় ঘটেছে লকডাউনের সময়। অক্লান্ত পরিশ্রমে যারাই সাহায্য চেয়েছেন তাদের জন্য ছুটে গিয়েছেন সোনু।
এখনো একই রকম ভাবে কাজ করে চলেছেন সোনু। এমতাবস্থায় তাঁর রাজনীতিতে যোগদান নিয়ে জোর জল্পনা কল্পনা শুরু হয়েছে। অনেকেই বলছেন, এবারেই সম্ভবত কোনো না কোনো রাজনৈতিক দলের সঙ্গে হাত মেলাবেন অভিনেতা। কিন্তু তাঁর নিজের এই বিষয়ে কি বক্তব্য? এক সাক্ষাৎকারে উঠে এল এই প্রসঙ্গই।
সাংবাদিক সোনুকে জিজ্ঞাসা করেন, এটা অনেকের প্রশ্ন। সোনু কি রাজনীতিতে যোগ দেবেন? দিলে বিজেপিতে দেবেন না কংগ্রেসে দেবেন? এই সমাজসেবা কি রাজনীতিতে যোগদানের জন্যই মহড়া? উত্তরে অভিনেতা বলেন, তাঁর কাছে গত দশ বছর ধরে প্রস্তাব আসছে রাজনীতিতে যোগ দেওয়ার জন্য। এমনকি তাঁর বন্ধুরাও তাঁকে ‘সাংসদ’ বলে ডাকেন মজা করে।
তবে সোনুর সাফ কথা, তিনি অভিনেতা হিসাবে যথেষ্ট ভাল কাজ করছেন এবং আরও ভাল করতে চান। এক বড় রাজনৈতিক দলের নেতা তাঁকে বলেছিলেন রাজনীতিতে যোগ দিলে তিনি নিশ্চয়ই জিতবেন। কিন্তু অভিনেতার বক্তব্য, যারা দেশ চালায় সেই ৫৭০ জনের মধ্যে সামিল হয়ে ভিআইপি সেবা পেতে চান না তিনি। তিনি ৫০ জন অভিনেতার একজন হয়েই খুশি।
সোনু আরও বলেন, তিনি কোনো পার্টির হয়ে নির্বাচন ক্যাম্পেনে অংশগ্রহণ করেননি। কিন্তু যখন প্রথম প্রথম তিনি অভিনেতা হয়েছিলেন তখন তাঁকে নির্বাচন ক্যাম্পেনে অংশগ্রহণ করতে হত। কিন্তু তখনো কেউ জিজ্ঞাসা করলে তিনি বলতেন, তিনি শুধু অভিনেতা হিসাবে মুখ দেখাতে এসেছেন। তাদের যাকে ইচ্ছা তাদেরই ভোট দেবেন।
সাংবাদিক প্রশ্ন করেন, দশ বছর ধরে যে প্রস্তাব এসেছে তাঁর কাছে তা কি কোনো একটি পার্টির থেকে এসেছে নাকি অন্য সব পার্টির থেকেই এসেছে? সোনু বলেন, “সব পার্টির থেকেই এসেছে। আমি দেখেছি রাজনীতিতে অনেকেই খুব ভাল কাজ করছেন। তবে আমি এখনি রাজনীতিতে যোগ দিতে চাই না। অন্তত আগামী ৩-৪ বছরে তো নয়ই। তবে যদি ভবিষ্যতে কোনোদিন রাজনীতিতে যোগ দিই তবে এমন কিছু করব যা কেউ করেনি।”
সোনু আরও বলেন, “আমি যদি কোনো পার্টির সঙ্গে যুক্ত থাকতাম তাহলে হয়তো মনের মতো কাজ করতে পারতাম না লকডাউনে।” সোনুকে সঞ্জয় রাউত ‘বিজেপির দালাল’ বলেছিলেন। তারপর দিনই মহারাষ্ট্রের মুখ্যমন্ত্রী উদ্ধব ঠাকরের সঙ্গে দেখা করতে গিয়েছিলেন তিনি। তাহলে কোন পার্টি তাঁকে বেশি আক্রমণ করে?
এর উত্তরে অভিনেতা বলেন, “আমার কোনো রঙ নেই। প্রবাসীদের যা রঙ, সাধারন মানুষের যা রঙ তাই আমার রঙ। আমি এখন যা করছি হয়তো নেতা হলে তা করতে পারতাম না। আমি একা যা করি তাই করতে চাই।”