বাংলা হান্ট ডেস্কঃ সিবিআইয়ের (CBI) হাতে গ্রেফতার তৃণমূল কংগ্রেস (Trinamool Congress) নেতা অনুব্রত মণ্ডল (Anubrata Mondal)। এরপর থেকেই শাসক এবং বিরোধী দলগুলির মধ্যে হুঁশিয়ারি এবং পাল্টা হুঁশিয়ারি মাঝে ক্রমশই চড়ছে রাজনৈতিক পারদ। একদিকে যেমন অনুব্রত মণ্ডলের গ্রেফতারির পর বাংলার বিভিন্ন প্রান্তে ঢাক-ঢোল বাজানোর পাশাপাশি গুড় ও বাতাসা বিলি করে চলেছে বিরোধী দলগুলি, আবার অপরদিকে সিবিআই এবং ইডির মতো কেন্দ্রীয় এজেন্সিগুলির বিরুদ্ধে প্রতিবাদে নেমেছে ঘাসফুল শিবির। এর মাঝেই আবার অনুব্রত মণ্ডলের সুরে একের পর এক হুঁশিয়ারি দিতে দেখা গিয়েছে তৃণমূল নেতা-মন্ত্রীদের।
গত কয়েকদিনে কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায় থেকে শুরু করে মদন মিত্র ও অসিত মজুমদারের মতো তৃণমূল নেতারা ছুড়ে দেন হুঙ্কার। এর মাঝেই এবার বিতর্ক বাড়িয়ে সৌগত রায়ের দাবি, “তৃণমূলের সমালোচকদের গায়ের চামড়া দিয়ে তৈরি হবে পায়ের জুতো। তৃণমূলের সব চোর বলে যদি মিছিল করা হয়, তবে পার্টি অফিসে ঢুকতে হবে।”
কামারহাটির মঞ্চ থেকে সৌগত রায় বলেন, “তৃণমূলের সমালোচকদের গায়ের চামড়া দিয়ে পায়ের জুতো তৈরি হবে। অনেকেই তৃণমূলের সব চোর বলে মিছিল করছে, যদি এরকম চলতে থাকে, তবে পার্টি অফিসে ঢুকে যেতে হবে।” তাঁর এই মন্তব্যের পরে রীতিমতো চাঞ্চল্য সৃষ্টি হয়েছে। এ প্রসঙ্গে কলকাতার মেয়র ফিরহাদ হাকিম বলেন, “বিরোধীরা যেভাবে একের পর এক অসভ্যতা করে চলেছে, তাতে অনেকের ধৈর্যের বাঁধ ভেঙেছে। তবে আমি বলব, এসব করবেন না। নিজেদের সংযত রাখুন, আইনকে আইনের পথে চলতে দিন।”
এরপরই তিনি বলেন, “বিরোধীরা যেভাবে অসভ্যতা করে চলেছে, তা অনুচিত। বাংলায় যেভাবে একের পর এক ঘটনা ঘটে চলেছে, তার বিরুদ্ধে আমরা আন্দোলনে নেমেছি।”
উল্লেখ্য, গতকালই প্রতিবাদ মিছিল থেকে তৃণমূল কংগ্রেস বিধায়ক অসিত মজুমদার বলেন, “যদি অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের নামে কোনরকম কুৎসা করা হয়, তবে ধোলাই হবে।” অপরদিকে আবার কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায় জানান, “দিদির সমালোচনা করা উচিত নয়। তবে এখন মনে হচ্ছে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ভুল করেছে। মমতাদি, আমি যা বলছি তার জন্য ক্ষমা চেয়ে নিচ্ছি। আসলে আপনার মানসিকতা ও হৃদয় অনেক বড়। তাই আপনি বলেছিলেন, ‘বদলা নয়, বদল চাই’; তবে আমার মনে হয়, ‘বদলা চাই’ এটাই হওয়া উচিত। বর্তমান পরিস্থিতিতে সিপিএম, বিজেপি ও কংগ্রেসের মতো দলগুলি যেভাবে কুৎসা ছড়িয়ে চলেছে, তাতে সেই দিন আমাদের বদলার বদলে বদলা নেওয়ার কথা বলা উচিত ছিল।” একইসঙ্গে দিলীপ ঘোষকে কটাক্ষ করে মদন-উবাচ, “কোমর ও গলায় বকলস পড়িয়ে ঘোরানো হবে।” আর এবার তৃণমূল নেতা সৌগত রায়ের বিতর্কিত মন্তব্য রাজনৈতিক পারদ আরো উত্তপ্ত করে তুলবে বলেই মত বিশেষজ্ঞদের।