বাংলা হান্ট নিউজ ডেস্ক: আজ লর্ডসের মাটিতে দ্বিতীয় ওয়ানডে ম্যাচে মুখোমুখি হয়েছে ভারত এবং ইংল্যান্ড। টি-টোয়েন্টি সিরিজ জয়ের পর ক্যারিংটন ওভালেও প্রথম ওয়ান ডে ম্যাচে ইংল্যান্ডকে খড়কুটোর মতো উড়িয়ে দিয়েছিলেন রোহিত শর্মার। আজকের ম্যাচে জিততে পারলেই ভারতীয় দল চলতি দশকে প্রথমবারের মতো বিদেশের মাটিতে কোনও ওয়ান ডে সিরিজ জিতে নেবে। স্বাভাবিকভাবেই আজকের ম্যাচ ঘিরে উত্তেজনা রয়েছে তুঙ্গে।
<span;>লর্ডসে আজ দ্বিতীয় ওয়ান ডে ম্যাচে গ্যালারিতে দেখা গেল চাঁদের হাট। নিজের পুরনো সতীর্থ এবং ভালো বন্ধু সচিন টেন্ডুলকারকে পাশে নিয়ে ম্যাচ দেখতে দেখা গেল বিসিসিআই সভাপতি সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায়কে। কয়েকদিন আগেই নিজের ৫০ তম জন্মদিন পালন করেছেন সৌরভ। সেই জন্মদিনের বিশেষ পার্টিতে আমন্ত্রিতদের মধ্যে সচিন ছিলেন অন্যতম বড় মুখ।
<span;>অপরদিকে লর্ডসের স্টেডিয়ামে খাবার এবং পানীয় সহযোগে ম্যাচ উপভোগ করতে দেখা গেল সুরেশ রায়না এবং মহেন্দ্র সিংহ ধোনিকে। জুন মাসের শেষ থেকেই ইংল্যান্ডের রয়েছেন প্রাক্তন ভারত অধিনায়ক। তবে রায়না যে এখন ইংল্যান্ডের ছিলেন তা জানতেন না অনেকেই। আইপিএল ২০২২-এর নিলামের পর থেকে রায়না এবং ধোনির সম্পর্কে ফাটল নিয়ে নানান রকম মনগড়া তথ্য তুলে ধরা হয়েছিল। চেন্নাই সুপার কিংস সহ কোনও দলই আইপিএল নিলামে রায়না কে নিজেদের দলে সামিল করেনি। সেই সময়ে রায়না প্রতিধ্বনির বিশ্বাসঘাতকতা নিয়ে বেশকিছু রসালো প্রতিবেদন প্রকাশ এনেছিল বেশকিছু সংবাদমাধ্যম। সেইসব প্রতিবেদন যে কতটা মনগড়া ছিল আজ লর্ডসে রায়না এবং মাহির ম্যাচ দেখার ছবিই সেটা বুঝিয়ে দিল।
<span;>রায়না, ধোনি, সচিন, সৌরভের সামনে এদিন ভারতীয় বোলারদের মধ্যে নজর কাড়লেন যুজবেন্দ্র চাহাল। গত ম্যাচে বুমরার দুর্দান্ত বোলিং এর কথা মাথায় রেখে লর্ডসের পিচে ঘাস রাখাই হয়নি বলতে গেলে। ফলস্বরূপ বুমরা বা শামির কেউই নিজেদের প্রথমদিকের ওভার গুলিতে উইকেট পাননি। কিন্তু মাঝের দিকের ওভার গুলিতে সেট হয়ে যাওয়া জনি বেয়ারস্টো, জো রুট, বেন স্টোকস এবং মঈন আলীর উইকেট তুলে ইংল্যান্ড ব্যাটিং লাইন আপকে একার হাতে ভাঙ্গেন তারকা লেগস্পিনার। তার দুর্দান্ত বোলিংয়ের সৌজন্যে ৪৯ ওভার ব্যাট করে ২৪৪ রানে অলআউট হয়ে যায় ইংল্যান্ড। জবাবে ব্যাট করতে নেমে কিছুটা বেকায়দায় ভারত। প্রতিবেদনটি লেখার সময় ৯ ওভার ব্যাট করে ২ উইকেট হারিয়ে ২৭ রান তুলেছে তারা। আউট হয়ে গিয়েছেন গত ম্যাচের ব্যাটিং হিরো রোহিত শর্মা এবং শিখর ধাওয়ান।