বাংলাহান্ট ডেস্ক: মার্চ মাসে একুশের বিধানসভা নির্বাচনের আগে বিজেপিতে যোগ দিয়েছিলেন শ্রাবন্তী চট্টোপাধ্যায় (srabanti chatterjee)। আর ছাড়লেন নভেম্বরে। বেহালা পশ্চিম থেকে ভোটে দাঁড়িয়ে হারের পরেই দলের সঙ্গে দূরত্ব বজায় রেখে চলছিলেন তিনি। বৃহস্পতিবার টুইট করে জানালেন, গেরুয়া শিবিরের সঙ্গে যাবতীয় সম্পর্ক ছিন্ন করছেন শ্রাবন্তী।
এদিনই আবার তৃণমূলে যোগদানের জল্পনা বাড়িয়ে দিলেন অভিনেত্রী। নির্বাচনে বিজেপির হয়ে প্রার্থী হিসেবে দাঁড়ানোর পর সংবাদ মাধ্যমের মুখোমুখি হয়েছিলেন তিনি। সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটালের সঙ্গে সাক্ষাৎকারে অভিমান প্রকাশ করেছিলেন শ্রাবন্তী। তাঁর অভিযোগ ছিল, মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে সরাসরি কথা বলতে দেওয়া হয়নি তাঁকে।
বৃহস্পতিবার বিজেপি ছাড়তেই সেই প্রশ্ন উঠল আবারো। এবার কি তবে তৃণমূলমুখী শ্রাবন্তী? জল্পনা উড়িয়ে দেননি টলি অভিনেত্রী। তাঁর ছোট্ট উত্তর, ‘সময়ই উত্তর দিক’। এই জল্পনার মাঝেই বিজেপির অভ্যন্তরে বিবাদ ফের প্রকাশ্যে এসেছে। শ্রাবন্তী দল ছাড়তেই কুরুচিকর ভাষায় কৈলাস বিজয়বর্গীয়র বিরুদ্ধে তোপ দেগেছেন বিজেপি নেতা তথাগত রায় (tathagata roy)।
টুইটে তিনি লিখেছেন, ‘আমাদের এক পুরোনো কর্মী দিনদুয়েক আগে লিখেছিলেন, উনি জয়নগরে সভা পরিচালনা করছিলেন। কৈলাশ বিজয়বর্গীয় শ্রাবন্তী সম্বন্ধে বলছিলেন, ওর মুখ দিয়ে প্রায় লালা ঝরছিল। এই সব নেতার হাতে বিজেপির প্রার্থী চয়নের ভার ছিল। এর পরে পশ্চিমবঙ্গে বিজেপির যে এই অবস্থা হবে এ আর বিচিত্র কি?’
আমাদের এক পুরোনো কর্মী দিনদুয়েক আগে লিখেছিলেন, উনি জয়নগরে সভা পরিচালনা করছিলেন। কৈলাশ বিজয়বর্গীয় শ্রাবন্তী সম্বন্ধে বলছিলেন, ওর মুখ দিয়ে প্রায় লালা ঝরছিল। এই সব নেতার হাতে বিজেপির প্রার্থী চয়নের ভার ছিল। এর পরে পশ্চিমবঙ্গে বিজেপির যে এই অবস্থা হবে এ আর বিচিত্র কি ? https://t.co/ZTTS83HULI
— Tathagata Roy (@tathagata2) November 11, 2021
উল্লেখ্য, এর আগেও শ্রাবন্তী, পায়েল, তনুশ্রীদের মতো অভিনেত্রীকে প্রার্থী করা নিয়ে ক্ষোভ উগরে দিয়েছিলেন তথাগত রায়। নির্বাচনের আগে হোলি উপলক্ষে একটি অনুষ্ঠানে তৃণমূল বিধায়ক মদন মিত্রর সঙ্গে তিন অভিনেত্রীর রঙ খেলা ও নাচ নিয়ে ক্ষোভ উগরে দিয়েছিলেন তথাগত। এমনকি ‘নগরের নটী’ বলেও কটাক্ষ শানাতে ছাড়েননি তিনি।
বৃহস্পতিবার টুইট করে দল ছাড়ার কথা ঘোষনা করেন শ্রাবন্তী। টুইটে তিনি লিখেছেন, ‘বিজেপির সঙ্গে সব বন্ধন ছিন্ন করলাম, যে পার্টির জন্য আমি গত বিধানসভা নির্বাচনে লড়েছিলাম। নেপথ্যে কারণ হল, বাংলার জন্য তাদের কিছু করার আগ্রহ বা তাগিদ না থাকা।’
‘মৃত্যুকুম্ভ’ মন্তব্যের পর তীব্র কটাক্ষ! এবার মমতার সন্দেহ ‘১৪৪ বছর’ পর মহাকুম্ভ নিয়ে