বাংলাহান্ট ডেস্ক: মনের আনন্দ, দুঃখ, রাগ, অভিমান প্রকাশের জন্য সোশ্যাল মিডিয়াকেই ভরসা করেন শ্রীলেখা মিত্র (Sreelekha Mitra)। নেটপাড়ায় খুবই সক্রিয় থাকেন তিনি। নিজের সিনেমার খোঁজ খবরের পাশাপাশি ব্যক্তিগত জীবনের বিভিন্ন মুহূর্ত, মনের ভাব প্রকাশের জন্যও সোশ্যাল মিডিয়ার দ্বারস্থ হন অভিনেত্রী। শনিবার তাঁর ফেসবুকের পাতায় দেখা গেল বিষন্নতার মেঘ।
সাত বছর আগে এই দিনটাতেই নিজের মাকে হারিয়েছিলেন শ্রীলেখা। নামেই সাতটা বছর, কিন্তু মাকে হারানোর যন্ত্রণা বুকে বাজতে থাকে সারা জীবন ধরে। যার জন্য পৃথিবীর আলো দেখা, যাকে জড়িয়ে জীবনের প্রতিটা মুহূর্ত, ছোট থেকে বড় হয়ে ওঠার প্রতিটা ক্ষণে জড়িয়েছিল যে মানুষটা, তাকে চিরদিনের মতো হারিয়ে ফেলার কষ্ট যে হারায় সে-ই বোঝে।
মায়ের সঙ্গে একটি ছবি শেয়ার করে এদিন খোলা চিঠি লিখেছেন শ্রীলেখা। তিনি লিখেছেন, ‘কাল সাত বছর হবে মা চলে গেছে। দেখতে দেখতে সাত সাতটা বছর কেটে গেল। আমার ছোটখাটো সরল সাদাসিদে মা। আমাকে ডাকত সোনামণি বলে। যখন গাড়ি ছিল না, বাসে করে মার সাথে কোথাও যাচ্ছি, হয়তো মা দূরে কোথাও বসেছে, সুর করে ডাকতো সোনামনি ঠিক আছিস? খুব রাগও হত মায়ের উপর, ডাকনাম ধরে সবার সামনে কেউ ডাকে?
আরও পড়ুন: ‘আমাকে নিতে হলে…’ সিরিয়ালে ফিরতে বিরাট দাবি অপরাজিতার! চিন্তায় পড়লেন প্রযোজকরাও
পাশ থেকে কোন চ্যাংড়া ছোড়া হয়তো গেয়ে উঠতো.. সোনামণি সোনারে আয় বুকে আয়রে… গানটা বিরি করে উঠতো আরো। জানো মা আজ সুর করে সেই সোনামণি বলে ডাকার কেউ নেই। তোমার বুকের ওই অদ্ভুত গন্ধটা খুব মিস করি মা। একটা শীতল উষ্ণতা। তোমার মতো ভালো মা হতে পারিনি মা। আজ স্বপ্নে এসো মা তোমায় জড়িয়ে একটু ঘুমোই। কতদিন ভালো করে ঘুমাই না.।’
আরও পড়ুন: সিনেমায় সুযোগ পেয়ে ঔদ্ধত্য বেড়েছে সৌমিতৃষার! দেবের নায়িকার কথা শুনে মন ভাঙল ভক্তদের
কমেন্টে শ্রীলেখা লিখেছেন, সহানুভূতির জন্য এ পোস্ট তিনি করেননি। নিজের মনের কথাগুলো শুধু প্রকাশ করেছেন। মাকে চিঠি লিখেছেন তিনি। কয়েকজন কমেন্ট করেছেন, মাকে হারানোর কষ্ট তারাও বোঝেন। শ্রীলেখা উত্তর দিয়েছেন, সারা জীবন ধরেই এই কষ্ট থেকে যাবে। এই শূন্যতা পূরণ হওয়ার নয়।
মা চলে যাওয়ার পর বছর দুই আগে নিজের বাবাকেও হারিয়েছেন শ্রীলেখা। মায়ের পরে বাবাই ছিলেন তাঁর অবলম্বন, প্রিয় বন্ধু। কিছুদিন আগে বাবার সঙ্গে ছবি শেয়ার করে স্মৃতিচারণা করতে দেখা গিয়েছিল অভিনেত্রীকে। মা বাবার স্মৃতি এখনো ফিরে ফিরে আসে শ্রীলেখার মনে।