নিজের বাড়িতেই টিকতে পারছেন না! যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের বিরুদ্ধে গুরুতর অভিযোগ শ্রীজাতর

বাংলাহান্ট ডেস্ক: যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের ফেস্টের জন্য সমস্যায় কবি পরিচালক শ্রীজাত বন্দ্যোপাধ্যায় (Srijato Banerjee)। শব্দের দৌরাত্ম্যে নিজের বাড়িতেও তিষ্ঠোতে পারছেন না তিনি। বাড়ির প্রত্যেকটি সদস্যই অতিষ্ঠ শব্দের তাণ্ডবে। সোশ্যাল মিডিয়ায় বিরক্তি প্রকাশ করে পোস্ট শেয়ার করেছিলেন শ্রীজাত। তাঁর অভিযোগে লাভও হয়েছে। সে খবরই আবারো জানালেন সঙ্গীতশিল্পী।

দুদিন আগেই নেট মাধ্যমে ক্ষোভ প্রকাশ করেছিলেন শ্রীজাত। জানিয়েছিলেন, যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের ফেস্টের জন্য তাঁরা বাড়িসুদ্ধ লোক সমস্যায় পড়েছেন। এক সপ্তাহ ধরে সকাল ১১ টা থেকে শুরু করে মধ্যরাত পার করে শেষ হচ্ছে শব্দ তাণ্ডব। ওপেন এয়ার থিয়েটারে হওয়ায় আরোই জোরে শোনা যাচ্ছে আওয়াজ।

Srijato fb

শ্রীজাত অভিযোগ করেছিলেন, তিনি কিছু লিখতে পারছেন না। স্ত্রী দূর্বা ক্লান্ত হয়ে বাড়ি ফিরে বিশ্রাম নিতে পারছেন না একটু। সর্বোপরি শ্রীজাতর অসুস্থ বৃদ্ধা মায়ের সমস্যা হচ্ছে সবথেকে বেশি। আওয়াজের দাপট এতটাই বেশি যে জানলা দরজা কাঁপছে। শেষমেষ বিরক্ত হয়ে সোশ্যাল মিডিয়ায় ক্ষোভ উগরে দিয়েছিলেন শ্রীজাত।

তাঁর অভিযোগে কাজ হয় হাতেনাতে। শব্দের দাপট কমেছে আগের থেকে। নতুন পোস্টে তিনি লিখেছেন, ‘অভিযোগে কাজ হয়েছে। গতকাল থেকে শব্দ প্রক্ষেপণের মাত্রা অনেকটাই কম এবং সহনীয়। আমার আগের পোস্টে যাঁরা ঠাট্টা তামাশা করছিলেন, তাঁদের হয়তো এ-কথা জেনে একটু খারাপই লাগবে যে, খোদ যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতি বা JUTA এই বিষয়ে অভিযোগ দায়ের করেছে, যেমন করেছেন অসংখ্য কর্মী ও পড়ুয়ারা।’

তিনি আরো লিখেছেন, ‘এলাকার বাসিন্দাদের অভিযোগও কিছু কম জমা পড়েনি। অবশেষে উৎসবের শব্দ প্রক্ষেপণকে নিয়ন্ত্রণের আওতায় আনা হয়েছে, সেই বাবদ ছাত্রীছাত্র ও উৎসব আয়োজকদের ধন্যবাদ জানাই।’

হ্যাঁ, শ্রীজাতর আগের পোস্টে অনেকেই ট্রোল করেছিলেন। কটাক্ষ করেছিলেন, সেলিমপুরে বসে যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের ফেস্টের আওয়াজ শুনতে পাচ্ছেন তিনি! এদিন ট্রোলের উত্তরে শ্রীজাত লেখেন, ‘এক নাগরিকের সত্যিকার অসুবিধে অন্যান্য নাগরিকের হাসিঠাট্টা ও ট্রোলের উপকরণ হয়ে ওঠে, এ যেমন দুর্ভাগ্যজনক (অবশ্যই যাঁরা হাসিঠাট্টা করছেন, তাঁদের দুর্ভাগ্য), তেমনই অভিযোগের ভিত্তিতে সুরাহা ও প্রতিকার হয় আজও, এও কম আশাব্যঞ্জক নয়।’

Avatar
Niranjana Nag

সম্পর্কিত খবর